বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরে শীত উঁকি দিয়েছে। সবুজ ঘাসের ওপর মুক্তার বেশে দেখা মেলেছে শিশিরবিন্দু। কুয়াশার চাদর সরিয়ে একটু দেরি করেই উঁকি দেয় সূর্য। পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে, প্রকৃতিতে শীত ঋতুর রূপ ফুটে উঠছে। এতেই বুঝা যাচ্ছে শীত তার আগমনী বার্তা দিয়েছে। অন্যদিকে দেখা গেছে শহরে ভ্যান গাড়িতে ভাপা পিঠা তৈরি করে বিক্রি করছে দু-ভাই আবদুর কাদের ও হারুন। সিরিয়াল ধরে পিঠা প্রেমীরা দাঁড়িয়ে পিঠা খাচ্ছে।
রোববার (১৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার আবিরনগর গ্রামে একটি ফসলের মাঠ ঘন কুয়াশা ঝাপসা দেখা গেছে চতুর্দিক। ৬টা ৪৫ মিনিটে সাদা-কালো মেঘ ভেদ করে সূর্য উঁকি দিয়েছে। মাঝেমধ্যে কিছুটা হিম বাতাস অনুভূতি হয়।
এর-আগে শনিবার রাত ১০টার দিকে লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাব সংলগ্ন আব্দুর কাদের নামে এক ব্যক্তি তার বাক-প্রতিবন্ধী (ছোট) ভাই হারুনকে নিয়ে শীতের ভাপা-পিঠা বিক্রি করছে। সঙ্গে আছে চিতই পিঠা তার সঙ্গে আছে ২০ আইটেমের ভর্তা। যেমন রসুন-মরিচবাটা, ধনিয়াপাতা বাটা, শুঁটকি, কালোজিরা, সর্ষা ভর্তাসহ ইত্যাদি।
দক্ষিণ লাহারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী রুবেলা আক্তার রাফিয়া ও ফাইজা আক্তার সাড়ে ৭টার দিকে স্কুল যাচ্ছেন। প্রাইভেট পড়তে। তাদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, শীতের হালকা অনুভূতি হচ্ছে। সকালের দোর খুব ভালো লাগছে। স্কুল যেতে ও আমাদের কাছে এখন ভালো লাগছে।
সাংবাদিক রেজাউল করিম পারভেজ বলেন, এখন অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় হালকা শীতের অনুভব হচ্ছে। সকাল বেলা কুয়াশা পড়ে, এতে বুঝা যাচ্ছে শীত তার আগমনী বার্তা দিয়েছে। পাখিদের কিচিরমিচির শব্দ টাও খুব মিষ্টি লাগে।
কৃষক মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, শীত পড়ে হালকা। ভারি জামাকাপড় এখনও পড়েন লাগে না। এখন মাঠে কাজ করতে ভালো লাগে। ১০-১২ দিনের মধ্যে লাল-শাক, মুলার শাকসহ নানা রমকের শাকসবজি বিক্রি করার জন্য ক্ষেত থেকে তোলা হবে। এখনও হাটে লাল-শাক পাওয়া যায় ১’শ টাকা কেজি।
পিঠা বিক্রেতা আব্দুর কাদের জানান, প্রতিবছর শীতের শুরুতেই ভাপা পিঠা ও হরেকরকমের ভর্তা দিয়ে বিক্রি করেন চিতই পিঠা। এভাবে ৪ থেকে ৫ মাস বিক্রি করেন পিঠা। (আজ) প্রথম দিন তার পিঠা তৈরি করে বিক্রির। হালকা শীত পড়ছে। মোটামুটি ভালোই বিক্রি হচ্ছে।