রায়পুরে হাসপাতালে ভিড় শীতে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু-বৃদ্ধ

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি:লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে গত ৫দিনের শীতের তীব্রতায় নাকাল হয়ে পড়েছে জনজীবন। শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীরা। শীতের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালসহ বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
চরাঞ্চলের শিশু-বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।সরেজমিনে রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকালে রায়পুর সরকারি হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, জরুরি বিভাগে ও অন্যান্য বিভাগের সামনে রোগীদের ভিড়। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন ১০-১৫ নবজাতক,  শিশু ও বৃদ্ধরা ভর্তি হচ্ছে। যা শিশু ওয়ার্ডের ধারণক্ষমতার দ্বিগুণের বেশি। এসব শিশুর মধ্যে কেউ কেউ কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট,জ্বর-ডায়রিয়ায় আক্রান্ত।হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর অনেকে সুস্থ হয়ে উঠলেও অনেক নবজাতকের গুরুতর অবস্থাও দেখা গেছে। শিশু ও বৃদ্ধরা হঠাৎ করে অসুস্থ হওয়ায় দিশেহারা অভিভাবকরা। এই শীতে বেশিরভাগ মেঘনার চরাঞ্চলের অসহায় গরীব মানুষ বেশি  ঠান্ডা ও শাষকষ্টে আক্রান্ত হচ্ছেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৭ দিনে রায়পুর হাসপাতালে ১৪৭ জন রোগী ভর্তি করা হয়েছেন। তার মধ্যে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ৫২ জন। এর মধ্যে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ২১ জন শিশু ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ী ফিরেছেন।
এদিকে, তীব্র শীতে রায়পুরে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাসাবাড়িতে গ্যাসে লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সহীদ পাটোয়ারী ও দেলোয়ার হোসেন সহ পৌরবাসীরা। এ বিষয়ে জানতে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।রায়পুর সরকারি হাসপাতালে শিশু ডাক্তার  মামুনুর রশীদ পলাশ বলেন, হঠাৎ করে শীত বেড়ে যাওয়ায় শিশুদের সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও ভাইরাসজনিত কারণে ডায়রিয়া দেখা দিচ্ছে। এজন্য শীতে শিশুদের সাথে বৃদ্ধদেরকেও বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। এতে তাদের নানা ধরনের রোগ থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বাহারুল আলম বলেন, ঠান্ডার কারণে শিশু রোগীর চাপ বেড়েছে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ রয়েছে। শিশুদের পাশাপাশি বৃদ্ধদেরকেও গরম কাপড় পরিধান করানো, অভিভাবকদের সচেতন ও ঠান্ডা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন এ চিকিৎসক।

আরও পড়ুন