মোবাইল দেখা নিয়ে কথা-কাটাকাটি, মা-মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে মোবাইল দেখা নিয়ে কথা-কাটাকাটি, মা-মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করেছে তার স্বামী শহিদুল ইসলাম।
শনিবার (২০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের হেয়াতপুর (চিনির চড়া) গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মর্জিনা বেগম (৩০) দুই সন্তানের জননী।এ সময় স্থানীয়রা গুরুতর আহতদের উদ্ধার করেনবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক স্ত্রী মর্জিনা বেগমকে মৃত ঘোষনা করে এবং দুই সন্তানকে উন্নত চিকিৎসার জন্যরংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় কন্যা মোছাঃ আফরিন জান্নাত আজ সকালে মৃত্যুবরণ করে।সোমবার দুপুর ১টায় দিনাজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এক প্রেস বিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার শাহ্ ইফতেখার আহমেদ বলেন ঘাতক শহীদুল ইসলাম(৩৭) নবাবগঞ্জ উপজেলার হেয়াতপুর গ্রামের মোঃ সোহরাব আলীর ছেলে।সেন একজন কাঠুরিয়া।প্রতিদিনের ন্যায় কাজ শেষ করে বাসায় ফিরে গোসল করে স্ত্রীর দেয়া মুড়ি মিষ্টি খেয়ে শনিবার (২০এপ্রিল)সন্ধ্যা ৭টার দিকে দাউদপুর বাজারের উদ্দেশ্যে বের হবার প্রাক্কালে তার দুই সন্তান মোছাঃ আফরিন ও ছেলে মোঃ আল আমিনের মোবাইলে গান শোনা নিয়ে বিরক্ত হয়ে মা ও সন্তানদের গালিগালাজ করতে থাকলে তার স্বামী বাঁধা নিষেধ করতে করতে এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে রান্না ঘরে থাকা বাঁশের খাটালি দিয়ে পিছন থেকে প্রথমে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে, সে মাটিতে পরে গেলে তার দুই সন্তান এগিয়ে আসলে ঘাতক শহীদুল ইসলাম তাদেরকেও মাথায় সজোরে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে দাউদপুর বাজারে চলে যায় ।ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে সে পুনরায় বাসায় এসে কে বা কাহারা তার স্ত্রী সন্তানকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করেছে মর্মে ডাক চিৎকার করতে থাকে এ সময় স্থানীয়রা দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক স্ত্রী মর্জিনা বেগমকে মৃত ঘোষনা করে এবং দুই সন্তানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় কন্যা মোছাঃ আফরিন জান্নাত আজ সকালে মারা যায় এবং ছেলে মোঃ আল আমিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ।এই ঘটনার নিহত মর্জিনা বেগমের মা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এরপরপরেই অভিযানে নামে পুলিশ । অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোমিনুল করিম এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল শেখ জিন্নাহ আল মামুনের তত্ত্বাবধানে নবাবগঞ্জ পুলিশ ঘাতক স্বামী মোঃ শহীদুল ইসলামকে গতকাল (শনিবার) রাতেই গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত শহীদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন ।আসামী শহীদুল ইসলামকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে ।

আরও পড়ুন