প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূ মোনালিসা আক্তার সালমাকে (২০) নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে স্বামী কামরুল হাসান সুমনের (২৩) বিরুদ্ধে। নিহতদের লাশ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।নিহত সালমা পূর্ব টুমচর গ্রামের আলমগীর হোসেন ও সাজু আক্তারের মেয়ে। (স্বামী) সুমন একই এলাকার খোকনের ছেলে।সদর থানার ওসি সাইফুদ্দিন আনোয়ার আরও বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট হাতে পেলে। (স্বামী) সুমন পুলিশ হেফাজতে আছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জুলাই) সকালে সদর উপজেলার টুমচর ইউনিয়নের (৪নং ওয়ার্ড) পূর্ব টুমচর গ্রামে শ্বশুর বাড়ীতে স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার হন গৃহবধূ সালমা।
মুমূর্ষু অবস্থায় সালমাকে শ্বশুর বাড়ীর লোকজন হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়নাল আবেদীন গৃহবধূ সালমাকে মৃত ঘোষণা করেন। সালমা ও সুমনের সংসারে সামিয়া ইসলাম হাফসা নামে দুই বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
জানা গেছে, ৪ বছর পূর্বে সুমন তার স্ত্রী সালমাকে ভালোবেসে বিয়ে করে। বিয়ে পর থেকে কিছুদিন সুখে সংসার কাটলোও। মাঝে মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। এ নিয়ে একাধিকবার শালিসি বৈঠকও হয়েছে। এর মধ্যেই তাদের সংসারে জন্ম নেয় একটি কন্যা সন্তান। কিছুদিন পর সুমন দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তবুও সালমা তার স্বামীর সংসার ছেয়ে যায়নি। সুখে সংসার করবে তাই।
এমনটাই জানালেন গৃহবধূর মা সাজু আক্তার তিনি সদর হাসপাতাল এলাকায় কান্নাকাটি করে বলেন, তার মেয়ে কখনও আত্মাহত্যা করবে না। যদি সেই আত্মাহত্যা করতো তাহলে আরও আগেই করতো। আমার মেয়ে তার (স্বামী) সুমন নির্যাতনের পর হত্যা করছে। আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছি।