লক্ষ্মীপুরে কোটা আন্দোলন নিয়ে আইনজীবীদের দুইপক্ষে হট্টগোল

সারাদেশে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা ও গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সমর্থিত আইনজীবীদের কর্মসূচি প্রতিপক্ষের বাধায় পণ্ড হয়ে গেছে। এতে আওয়ামী পন্থী ও আন্দোলন সমর্থনকারী আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।বুধবার (৩১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে লক্ষ্মীপুর জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।জানা গেছে, সারাদেশে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা ও গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি ঘোষণা দেয়। আদালত চত্বর, ক্যাম্পাস ও রাজপথে এ আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এর জেরে লক্ষ্মীপুর আদালত প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন। তবে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে থাকায় কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারেনি শিক্ষার্থীরা। তবে জেলা গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক আইনজীবী নুর মোহাম্মদের নেতৃত্বে কয়েকজন আইনজীবী কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে হাতে লেখা পেস্টুন নিয়ে মানববন্ধনে দাঁড়ায়। এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী অংশ নিলে পুলিশ তাদেরকে সরে যেতে বলে। পরে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের বাধায় উভয়পক্ষ বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সরেজমিনে দেখা যায়, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) হাসান মোস্তফা স্বপন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ সোহেল রানা ও সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন ফারুক মজুমদারের নেতৃত্বে আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশ অবস্থান নেয়। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বহিরাগতদের বের করে দেওয়া হয়। আইনজীবীদের মধ্যে হট্টোগোলের পর আইনজীবী সমিতি ভবনের ভেতরে মাইকিং করে বহিরাগত ও অপ্রয়োজনে অবস্থান নেওয়া লোকজনকে বের করে দেয় পুলিশ।এদিকে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মাদাম ব্রিজ ও ঝুমুরসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকতে দেখা গেছে।জেলা গণ অধিকার পরিষদের আহবায়ক আইনজীবী নুর মোহাম্মদ বলেন, আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের বাধায় আমাদের কর্মসূচি পণ্ড হয়ে গেছে। তাদের কাজই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বাধা সৃষ্টি করা।জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রহমত উল্লাহ বিপ্লব বলেন, অভিযোগটি মিথ্যা। এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন ফারুক মজুমদার বলেন, আইনজীবীরা কে কোন দলের তা জানা নেই। তাদের নিজেদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আমরা ঘটনাস্থল ছিলাম। পরে তারা শান্ত হয়ে যার যার কাজে চলে গেছেন।

আরও পড়ুন