জামায়েত ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন আওয়ামী লীগের আস্তাভাজনরা এখনো সরকারে বিভিন্ন জায়গায় ঘাপটি মেরে বসে আছে। গত ১৫ বছরের অপকর্মের জন্য তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। অচিরেই তেদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে সোপর্দ করতে হবে। না হলে তারা নতুন করে ষড়যন্ত্র করতে পারে। জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের মাটিতে আর নতুন কোন চক্রান্ত বাস্তবায়ন করতে দিবে না। হাসিনা পালিয়ে গেছে তবে তার দোসর আওয়ামী লীগসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ বাংলার মাটিতে রয়ে গেছ। তাদেরকেও গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। শহীদের বাংলায় স্বৈরাচারের কোন ঠায় নাই।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের লিল্লাহ মসজিদের সামনে লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত
বন্যার্তদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ ও এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এই লক্ষ্মীপুরে তাহের গডফাদার সৃষ্টি করে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীদের নানা অত্যাচার নির্যাতন করেছে। এখন তার দুই কুলাঙ্গার সন্তান টিপু ও বিপ্লব ছাত্র-জনতার উপর গুলি করে তাদেরকে শহীদ করেছে। তারা বাংলার জমিনের যে জায়গায়ই লুকিয়ে থাকুক না কেন এই দেশের আপামর জনতা তাদের রেহাই দিবেনা। তাদেরকে পাকড়াও করে বিচারের জন্য আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে তুলে দিবে।
পথসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াত ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে গিয়ে শেখ হাসিনা শুধু নিষিদ্ধই হন নাই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। জামায়াত ইসলামী তৈরি করে দেশের সূর্য সন্তান ছাত্রশিবির, আর আওয়ামী লীগ তৈরি করেন সন্ত্রাসীদের গডফাদার। একের পর এক ব্যাংক ডাকাতি ও শেয়ার বাজার লুট করেছেন। গত ৫ আগষ্টের আগ মুহুর্তে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের ট্রাম্পকার্ড দিয়ে আন্দোলন নস্যাৎ করতে চেয়েছি হাসিনা কিন্তু পারেননি। এই দেশের ছাত্র-জনতা জামায়াত-শিবিরকে বুকে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে হাসিনার পতন নিশ্চিত করে ঘরে ফিরেছেন।
এই আন্দোলনের সবচেয়ে বড় নেয়ামক শক্তি বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী-ছাত্রশিবির নিষিদ্ধ করলে আন্দোলন থেমে যাবে। কিন্তু তা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই আমাদেরকে সে দিন নিষিদ্ধ করে প্রকৃতপক্ষে শেখ হাসিনা ঐ দিনই আন্দোলনকে বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছেন। আর আপনি শুধু নিষিদ্ধ হন নাই বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, মানুষের কল্যাণে জামায়াত ইসলামী ব্যাংক দৃষ্টি করেছে আর আওয়ামী লীগ তা লুটপাট করেছে। মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে আমরা হাসপাতাল তৈরী করেছি আওয়ামী লীগ তার সেবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে বাধা দিয়েছে। শেখ হাসিনার বাবা ছিল কম্বল চোর আর তার মেয়ে শেখ হাসিনা হলো টাকা চোর। শেখ হাসিনা খুনি সে তার হাতকে রক্তে লাল করেছে। এজন্য সে বাংলাদেশের জমিনে থাকতে পারেনি। বাংলাদেশের মাটিতে কোনোদিন আর তার জায়গায় হবেনা। লক্ষ্মীপুরের গরিবের ডা. হিসেবে খ্যাত ডা. ফয়েজকে যে আওয়ামী প্রশাসন ক্যাডারা হত্যা করেছে অচিরেই তাদের বিচার করতে হবে। পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরষিদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারী ড. মুহামম্মদ রেজাউল করিম, জেলা জামায়াতের আমীর এস.ইউ.এম রুহুল আমিন ভূঁইয়া, নায়েবে আমীর এ আর হাফিজ উল্যাহ, সেক্রেটারী ফারুক হোসাইন নুরনবী, সহ-সেক্রেটারী নাছির উদ্দিন মাহমুদ ও এডভোকেট মহসিন কবির মুরাদ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শহর জামায়াতের আমীর এডভোকেট আবুল ফারাহ নিশান, সেক্রেটারী জহিরুল ইসলাম, জেলা শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সভাপতি মমিন উল্যাহ পাটওয়ারী, সেক্রেটারী এডভোকেট মুঞ্জুরুল আলম, জেলা শিবিরের সভাপতি মনির হোসেন, শহর শিবির সভাপতি আরমান হোসেন পাটওয়ারী, সেক্রেটারী ফরিদ উদ্দিনসহ জেলা-উপজেলা ও পৌরসভা এবং ইউনিয়নের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।