প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে জেসমিন আক্তার (৩৫) নামে এক নারীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা এ সময় তার স্বামী হারুনুর রশিদকে (৪২) কুপিয়ে আহত করা হয় বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকালে পুলিশ হারুনের স্ত্রী জেসমিন আক্তারের মৃতদেহ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। জেসমিন চার সন্তানের জননী।তার স্বামীকে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদিকে ঘটনা সন্দেহে স্থানীয় লোকজন জেসমিনের দেবর হিরনকে আটক করে। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে চন্দ্রগঞ্জ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। ১৫ অক্টোবর (মঙ্গলবার) দিবাগত রাত তিনটার দিকে জেলার সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের ঝাউডগী গ্রামের নুর মোহাম্মদ ডাক্তার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত হারুনুর রশিদ ওই বাড়ির মৃত মোহাম্মদ হানিফ মোল্লার ছেলে। তিনি পেশায় ইটভাটার মাঝি
স্থানীয় লোকজন জানায়, মঙ্গলবার রাতে হারুনুর রশিদ তার স্ত্রী ও চার সন্তানকে নিয়ে ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন রাত ৩ টার দিকে বাহির থেকে তাদের ঘরের মধ্যে আওয়াজ করা হয়৷ শব্দ শোনে চোর বা ডাকাত ভেবে হারুন ঘরের দরজা খুলে বাহির হন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। প্রাণভয়ে তিনি চিৎকার দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান। পেছন দিয়ে ঘর থেকে তার স্ত্রী বের হলে দুর্বৃত্তরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। তার শরীরের ২০-২৫ টির মতো ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল।
আহত হারুনের বরাত দিয়ে স্থানীয় লোকজন আরও জানায়, দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যাবার পর হারুন ঘরে এসে তার দেখেন তার স্ত্রী নেই। ঘরে তার সন্তানরা ঘুমিয়ে আছে। পরে ঘরের অদূরে একটি বাগানে স্ত্রীর মৃতদেহ দেখতে পান তিনি। তবে দুর্বৃত্তরা বাড়িতে থাকা গরু বা ঘরের কোন মালামাল লুট করেনি। দুর্বৃত্তদের দলে ৭-৮ জন সদস্য ছিল বলে হারুন জানিয়েছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার হামিদ বলেন, দুর্বৃত্তরা হারুনকে আঘাত করলে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে এসে দেখেন তার স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনা সন্দেহে স্থানীয় লোকজন হারুনের ভাই হিরনকে আটক করে রাখে। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসি। জমি নিয়ে পূর্ব থেকে তাদের মধ্যে বিরোধ ছিল বলে বাড়ির লোকজন জানিয়েছে।