প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধে জের ধরে প্রতিপক্ষ আপন ভাইকে ফাঁসাতে নিজ স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৩৫) হত্যা করেছে স্বামী হারুন অর রশিদ। ঘটনার ৭ দিন পর হত্যা রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যা মামলার আসামী হারুন কে গ্রেফতার করেছে আদালতে সোর্পদ করার জন্য সেই ১৬৪ ধারা দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার হামিদ ২১ অক্টোবর সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত ও চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের ঝাউডগী গ্রামের মৃত হানিফ মোল্লার ছেলে হারুন অর রশিদ এর সাথে তার আপন ভাই মো: হিরন এর সাথে জায়গা-জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধ চলে আসছে। ঘটনার দিন গত ১৫/১০/২৪ ইং তারিখে গভীর রাতে হারুন তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার কে ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে পাশের বাড়ি বিয়ে অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা বলে বাড়ির বাইরে নিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে স্ত্রী কে হত্যা করে।
পরে তার ভাই হানিফ ও ভাইয়ের স্ত্রীকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে প্রতিবেশী আজাদ মাঝির বাড়ীতে দৌড়ে গিয়ে ডাকাত ডাকাত বলে শোর চিৎকার করে আশপাশের লোকজন জড়ো করে হারুন। আশপাশের লোকজন বাড়ীতে আসলে হারুন বলে, মো: হিরন ও তার স্ত্রী সহ ৭/৮ জনের ডাকাতদল তাকে এবং তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার কে আক্রমণ করলে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে হারুন তার স্ত্রীকে খোঁজাখুঁজির অজুহাতে আশপাশের লোকজনসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে জেসমিন আক্তারকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দিলে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল প্রেরণ করে। পরে পুলিশ এই হত্যার রহস্য উদঘাটনে মাঠে নেমে প্রথমে তারা মোঃ হারুন কে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হারুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। তাকে গতকাল ২০/১০/২৪ ইং তারিখে আদালতে হাজির করলে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে