প্রতিনিধি: শিশু কিশোর ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম প্রচার শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় লক্ষ্মীপুর জেলা পর্যায়ে জেলা পর্যায়ে এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম উপলক্ষে বয়েজ স্কাউট ও গালর্স গাইড সদস্যদের নিয়ে অবহিতকরণ সভা জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে ২৩ অক্টোবর (বুধবার) বিকেলে লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।জেলা তথ্য অফিসার বিশ^নাথ মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন ডা: আহাম্মেদ কবির।বিশেষ অতিথি ছিলেন মেডিকেল অফিসার ডা: নাহিদ রায়হান, ইউনিসেফ এর প্রতিনিধি মো: আবদুল জলিল, লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য মো: রবিউল ইসলাম খান প্রমুখ। এসময় বয়েজ স্কাউট ও গালর্স গাইডের প্রায় ৩০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, লক্ষ্মীপুর জেলায় ১ লাখ ১১ হাজার ৯’শ ৫৫ জন কিশোরীকে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধী এইচপিভি টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ১ হাজার ৬’শ ৫২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এইচপিভি টিকাদান করা হবে। এর মধ্যে ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণী পর্যন্ত জেলায় মোট ১ লাখ ৬ হাজার ৪৬৯ জন কিশোরী এবং বিদ্যালয়ের বাইরে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী ৫৪৮৬ জন কে এই টিকার আওতায় আনা হবে। এই ক্যাম্পইন সফল ও সার্থক করতে বয়েজ স্কাউট ও গালর্স গাইড সদস্যদের যার যার অবস্থান থেকে এক যোগে আন্তরিক ভাবে কাজ করার আহবান জানানো হয়। আগামী কাল ২৪ অক্টোবর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত এইচপিভি টিকাদান চলমান থাকবে।
প্রতি বছর বিশ্বে ৬ লাখ নারী জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে ৩ লাখ ৪২ হাজার মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া বিশ্বে প্রতি লাখে ১১ জন এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। মারা যাচ্ছেন ৪ হাজার ৯৭১ জন। জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে বিনামূল্যে ইপিআই এইচপিভি টিকা প্রদান করা হবে।
এই টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর। একটি ডোজই জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে যথেষ্ট বলে জানানো হয়।