লক্ষ্মীপুরে অর্ধশতাধিক স্টলে বাহারি রকমের পিঠা উৎসব

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে উদ্বোধন হয়ে গেল জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ৩ দিন ব্যাপী পিঠা উৎসব, অর্ধশতাধিক স্টলে দেড় শতাধিক পিঠার ফসরা সাজিয়েছে বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী পর্যায়ে কর্মরত নারীরা। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে এবং নতুন প্রজন্মের সঙ্গে পরিচয় করে দিতে এই উৎসব। উৎসবে অংশ নিয়েছে বিভিন্ন বয়সী শত শত নারী-পুরুষ। ধুম পড়েছে পিঠা বেচাকেনায়। ১৪ জানুয়ারী (মঙ্গলবার) সকালে জেলা কালেক্টর ভবন প্রাঙ্গণে ৩ দিনব্যাপি এই উৎসব উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার। তিনি ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে এই উৎসবের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক জেপি দেওয়ার এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার আকতার হোসেন, সেনাবাহিনী লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের অধিনায়ক লে: কর্ণেল মাজেদুল হক রেজা, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক জসিম উদ্দিন, সনাকের জেলা শাখার সভাপতি প্রফেসর জেড এম ফারুকী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি সম্রাট খিসা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মেজবা উল আলম ভূঁইয়া, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামসেদ আলম রানা প্রমুখ।
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে এবং নতুন প্রজন্মের সঙ্গে পরিচয় করে দিতে  এই উৎসব। বিভিন্ন নামের ও রংয়ের মুখরোচক পিঠার মনোমুগ্ধকর প্রদর্শন দেখা গেছে পুরো উৎসবে। বাংলার আবহমানকালের এই পিঠা উৎসব নতুন প্রজন্মকে হরেক রকমের পিঠার সঙ্গে পরিচিতি করার পাশাপাশি বাঙালির ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে জানতে সহায়তা করবে। এমনটাই মনে করছেন আয়োজকরা।
পিঠা উৎসবে ঘুরে ঢেঁকির বৈঠক খানা, নোয়া চাইলে নোয়া হিডা, পিঠা আলাফ, হিম চাওয়া চন্দ্রফুলি, পিঠা আড্ডা, টুনটুনিদের পিঠা ঘর ও পিঠা অরণ্যসহ বিভিন্ন নামে শতাধিক দোকান দেখা যায়। এতে ডাল পাকন, শুকনা পিঠা, লতা পিঠা, শামুক পিঠা, সাকুর পিঠা, পদ্মার ইলিশ পিঠা, পাটি সাপটা, পান্তুয়া, জেলি কেক, বরফি, দুধ চিতল, ভাপা পিঠা, নকশি পিঠা, ঝুনঝুনি পিঠা, মুগ পাকন, ক্ষীর পাটি সাপটা, হৃদয় হরণ ও নারিকেল বেলি পিঠাসহ দুই শতাধিক পিঠা দেখা গেছে। একেকটির স্বাদ একেক রকম। ১৬ জানুয়ারী এই উৎসব শেষ হবে।

আরও পড়ুন