অভিজ্ঞতা ও ব্যয় সাশ্রয় প্রশ্নে এনআইডির সার্ভার নির্বাচন কমিশনের হাতে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন কয়েকজন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। তবে ভিন্ন মত দিয়েছেন ডক্টর জাফর ইকবাল। ইসি বলছে, ডাটাবেজ ইসির অধীনে রাখতে আরেক দফা সরকারকে অনুরোধ করবে কমিশন।
দেশের প্রায় ১২ কোটি ভোটারের আঙুলের ছাপ সংরক্ষিত আছে নির্বাচন কমিশনের এনআইডি সার্ভারে। যার মাধ্যমে ইভিএমে ভোটদানের সময় ভোটারকে শনাক্ত করে। কিন্তু এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে গেলে আঙুলের ছাপ কার কাছে থাকবে?
এছাড়াও সরকারের অভ্যন্তরীণ পরিকল্পনা অনুযায়ী যদি ভোটার ও এনআইডি’র জন্য আলাদা কার্ড হয় তবে ভোগান্তি বাড়বে নাম আর বয়স সংশোধন ঘিরে। ভোটার আগ্রহ হারাবেন ইভিএমে ভোটদানে। এমন উপলদ্ধি নির্বাচন কমিশনের। যার সমাধানে রোববার দেশের বিশিষ্ট প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানায় ইসি।
মতবিনিয়ম শেষে ডক্টর জাফর ইকবাল জানান, এনআইডির কার্যক্রম যে সংস্থার অধীনেই থাকুক ইভিএমে ভোটগ্রহণে সমস্যা হবে না। তবে ভিন্ন মত দিয়েছেন অধ্যাপক কায়কোবাদ ও অধ্যাপক মাহফুজ আহমেদ। ব্যয় সাশ্রয়, অভিজ্ঞতা ও জনবলের দক্ষতা কাজে লাগাতে এনআইডির ডাটাবেজ নির্বাচন কমিশনে রাখার পক্ষে পরামর্শ দেন তারা।
কমিশন বলছে, যদি ইসিতেই এনআইডি রাখা যৌক্তিক মনে হয়, তাহলে সরকারকে অনুরোধ করবে তারা। আর এই বিষয়ে এক মাসের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
তবে একান্তই এনআইডি রাখা না গেলে বর্তমান সার্ভার হস্তান্তর করতে চায় না, সেক্ষেত্রে এই সার্ভারের নাম হবে ভোটার আইডি কার্ড। আর নতুন করে এনআইডি করতে হবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে।