লক্ষ্মীপুরে ব্যবসায়ী হারুন হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন

নিজস্ব সংবাদদাতা: মায়ের কান্না, বোনদের আর্তনাদ, বাবা সহ পরিবার পরিজনের বিচার দাবি। বিচারের দাবিতে পুশে উঠেছে ব্যবসায়ীরাও। উত্তাল লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার রসুলগঞ্জ বাজার।


শ্বশুর বাড়িতে নিহত মাংস ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ ( হারুন) এর হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে রসুলগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী ।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় চররুহিতা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে রসূলগঞ্জ বাজার বণিক সমিতি ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে নিহত হারুনের বাবা আবদুল মান্নান, মা কহিনুর বেগম, ভাই রিয়াজ হোসেন ও বোন জোৎস্না বেগম সহ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন।

এসময় তারা বলেন, হারুনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। প্রায় ৫ মাস আগে পাশ্ববর্তী ইউনিয়নের চরবংশী গ্রামের মনছুর আহমেদের মেয়ে বৈশাখীর সঙ্গে হারুনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এর কিছুদিন পরই জানা যায় বৈশাখীর অন্য ছেলের সঙ্গে প্রেম রয়েছে। বৈশাখীও নিয়মিত ওই ছেলের সঙ্গে কথা বলতো। এনিয়ে হারুন ও বৈশাখীর মধ্যে প্রায়ই কথা কাটাকাটি হতো। এসব কারণে কয়েকদিন আগে বৈশাখী তাদের বাড়িতে চলে যায়।

সোমবার রাতে হারুনকে বৈশাখীর বোনজামাই শ্বশুর বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করে। পরে ঘটনাটি অন্যদিকে প্রভাবিত করতে বাড়ির পাশের বাগানে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে। এটি পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবি করেছেন হারুনের পরিবার।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হারুনের শ্বাশুড়ি খুকি বেগম ও স্ত্রী বৈশাখী বেগমকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। হারুনের শ্বশুর মনছুর আহমেদ ও ভায়রাভাই জুয়েল ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন।

নিহত হারুন সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের নবীগঞ্জ বাজার এলাকার আবদুল মান্নানের ছেলে ও রসূলগঞ্জ বাজারের মাংস ব্যবসায়ী ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, রসুলগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় স্বপন পাটোয়ারী, সফি মাহমুদ নিজু, তমিজ চৌধুরী, হান্নান হোসেন বাবু, মোবারক চৌধুরী, গোফরান হোসেন বাবু, জহির উদ্দিন, আবুল বাসার, মোঃ আব্দুল মতিন, মোঃ নিয়াজ, আব্দুল মজিদ, মোঃ আরিফ, মোঃ মোরশেদ, মনির হোসেন, মোঃ নাহিদ, তাহের হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধন থেকে তারা মাংস ব্যবসায়ী হারুন এর নৃশংস হত্যার বিচারের দাবি জানান এবং দ্রুত অন্য আসামীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেন।

আরও পড়ুন