নিজস্ব সংবাদদাতা: বিতর্কিতদের নিয়ে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার করপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি করার অভিযোগে আন্দোলনে নেমেছেন বিক্ষুব্ধ একাংশের নেতাকর্মীরা। নতুন কমিটি বাতিলের দাবিতে তারা বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে করপাড়ার গাজীপুর বাজারে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন।
এসময় নেতাকর্মীদের গণপদত্যাগের সই সংগ্রহ করা হয়। এর আগে এই কমিটি নিয়ে জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ছাত্রলীগের ছয় নেতা।
গণপদত্যাগকারীদের মধ্যে রয়েছেন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাব্বির আল সাফা, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলে আজিম হৃদয়, দাউদ হোসেন এলাহান, সদস্য মো. আল আমিন, গাজী নাজমুল হাসান, বিপ্লব হোসেন, শাওন হোসেন, মো. শাহাদাত, তফসির হোসেন তুহিন, জাবেদ পাটওয়ারী, শাকিল খান জয় ও রাশেদ আলমসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী।
এর মধ্যে কয়েকটি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ দায়িত্বশীল নেতারা রয়েছেন। গণপদত্যাগ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন আন্দোলনরত নেতাকর্মীরা।
অন্দোলনকারীদের অভিযোগ, আট লাখ টাকার বিনিময়ে পারভেজ আলমকে সভাপতি ও মাহবুব আলম হৃদয়কে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটির সভাপতি পারভেজ স্যানিটারি মিস্ত্রি আর সাধারণ সম্পাদক মাহবুব চা দোকানি। কমিটির একাধিক নেতার বিরুদ্ধেও মাদকসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। তাদের পরিবারের সদস্যরাও বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
দলীয় সূত্র জানায়, ১৬ জানুয়ারি রাতে করপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের (আংশিক) ১২ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ফেসবুকে দেওয়া হয়। রামগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল জামান অপু মাল ও সাধারণ সম্পাদক সাজিদ হাসান অভি এ কমিটি অনুমোদন করেন।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া সাব্বির আল সাফা বলেন, টাকার বিনিময়ে সভাপতি-সম্পাদক পদ বিক্রি করা হয়েছে। রাজনীতিতে তাদের অবদান নেই। বিষয়টি আমরা এমপিসহ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতাদের জানিয়েছি। এখন আমরা নতুন কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ ও গণপদত্যাগের সই সংগ্রহ কর্মসূচি পালন করছি।
এসময় ছাত্রলীগ নেতা নাজিম মাহমুদ রিফাত, আবদুল্লাহ আল মামুন, সাব্বির আল সাফা, দাউদ হোসেন এলাহান, রাশেদ আলম রবিনসহ অনেকে বক্তব্য দেন। সমাবেশে দুই শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিল। তারা কমিটি বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
তবে রামগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল জামান অপু মাল দাবি করেন, টাকার বিনিময়ে ওই কমিটি করা হয়নি। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাদের দ্বন্দ্বের কারণে কমিটি নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। নিজেদের মধ্যে মান-অভিমান নিরসনের চেষ্টা চলছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকি বলেন, করপাড়া ইউনিয়নে কর্মী সম্মেলন করে কমিটি দেওয়া হয়েছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।