লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় আগামী ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস সব ধরনের মাছ শিকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সময় ওই এলাকায় মেঘনার মাছ কেনাবেচা, মজুত ও পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ‘মৎস্য সংরক্ষণ আইন, ১৯৫০’-এর ১৩ ধারা অনুযায়ী মৎস্য অধিদপ্তর এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এ উপলক্ষে গতকাল রোববার সকালে লক্ষ্মীপুরের ডিসি সম্মেলন কক্ষে জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রিয়াংকা দত্তের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিসি মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ, অতিরিক্ত ডিসি মোহাম্মদ নুর এ আলম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম, কমলনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুস ও জাতীয় মৎস্যজীবী জেলা শাখার সভাপতি রফিক ইসলাম চৌধুরী।
সভায় জানানো হয়, জাটকা রক্ষা ও ইলিশ মাছের বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০৬ সাল থেকে চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনার নি¤œ অববাহিকার ১০০ কিলোমিটার নৌসীমাকে ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, মেঘনার অভয়াশ্রমে মাছ ধরা বন্ধ রাখার জন্য জেলেপল্লিসহ মাছঘাট এলাকা এবং উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে নানা ধরনের সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। লিফলেট, পোস্টার ও মাইকিং করার মাধ্যমে এলাকায় প্রচার-প্রচারণাও চালানো হচ্ছে। এছাড়া মাছ ধরা প্রতিরোধের জন্য মোবাইল কোর্টও পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ডিসি জানান, দুই মাস মেঘনায় মাছ ধরা বন্ধ রাখার ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আইন ভঙ্গ করে নদীতে জাটকা ইলিশ ধরার চেষ্টা করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের উপস্থিতিতে বিতরণ করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।