লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদ সভা

নিজস্ব সংবাদদাতা: লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে যুবলীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক রিংকুর বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ মিথ্যা উল্লেখ করে প্রতিবাদ সভা করা হয়েছে। বুধবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজারে এ আয়োজন করা হয়। রিংকু চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক।

বক্তারা বলেন, ২৭ ফেব্রুয়ারি সকালে মুজাহিদুল ইসলাম নামে এক কিশোরকে চন্দ্রগঞ্জের শ্রমিক হোটেল ম্যানেজার মো. জসিম মারধর করে৷ রতে মুজাহিদ বিষয়টি যুবলীগ নেতা রিংকুকে জানায়। এতে প্রতিবাদ করায় শ্রমিক হোটেলের বর্তমান মালিক ফয়সাল ফরহাদ যুবলীগ নেতার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এসময় যুবলীগ নেতাকে গালমন্দও করে। গালমন্দ সহ্য করতে না পেরে ফরহাদকে তিনি দুটি থাপ্পড় দেন। ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে ফরহাদ তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির নাটক সাজিয়েছে।

এতে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-প্রচার সম্পাদক মুনছুর আহম্মদ, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গিয়াস উদ্দিন লিটন, সাধারণ সম্পাদক কাজী মোহাম্মদ সোলায়মান, চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক কাজী মামুনুর রশীদ বাবলু, ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক মো. সাহাব উদ্দিন, যুগ্ম-আহবায়ক আবদুর রাজ্জাক রিংকু, কৃষক লীগ নেতা মো. সেলিম, চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ প্রমুখ।

মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, শ্রমিক হোটেলের কাজ ছেড়ে আমি পাশবর্তী কাশফুল ফাস্টফুডে যোগ দিই। ২৭ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে আমি শ্রমিক হোটেলে নাস্তা করতে যায়। চলে আসার সময় হোটেলের ম্যানেজার আমাকে বাধা দেয়৷ কারণ জিজ্ঞেস করলে আমাকে গালমন্দ করেন তিনি। একর্যায়ে আমাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারে। পরে একটি লোহার পাইপ নিয়ে আমাকে পিটিয়েছে জসিম। বিষয়টি নিয়ে আমি যুবলীগ নেতা রিংকুকে জানায়। রিংকু এ বিষয়ে জানতে চাইলে হোটেলের মালিক ফরহাদ গালমন্দ করে। গালমন্দ সহ্য করতে না পেরে তিনি হোটেল মালিককে চড় দেয়। আমাকে মারধরের ঘটনা দামাচাপা দিতেই রিংকু মামার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির নাটক সাজিয়েছে।

ফয়সাল ফরহাদ সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজারের শ্রমিক হোটেলের বর্তমান মালিক ও দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী।

ফয়সাল ফরহাদ বলেন, যুবলীগের প্রোগ্রামের কথা বলে রিংকু আমার ভাই ওমর ফারুকের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ওই টাকা না দেওয়ায় সে আমাকে প্রকাশ্যে মারধর করে। বিচারের দাবিতে আমি পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এজন্য ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রভাবিট করতে যুবলীগ নেতারা মুজাহিদকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।

প্রসঙ্গত, মুজাহিদ গত বছর ২২ ডিসেম্বর শ্রমিক হোটেলের কর্মচারী হিসেবে যোগদান করি। মারধর ও কারণে-অকারণে গালমন্দ করায় ১ মাস ২৮ দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি শ্রমিক হোটেলের কাজ ছেড়ে দেয় বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন