শিক্ষার্থীদের কাছে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটি মুক্তির প্রেরণা হয়ে থাকবে : মাকসুদ কামাল

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, শিক্ষার্থীদের কাছে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটি মুক্তির প্রেরণা হয়ে থাকবে। এ মুক্তির প্রেরণা বলতে- আবার মুক্তিযুদ্ধ আসবে, স্বাধীনতার ডাক আসবে বুঝানো হয়নি। বিষয়টি হল- একজন শিক্ষার্থী চায় ভালো ফলাফল করুক। একজন শিক্ষার্থী যখন চায় কুসংস্কার থেকে মুক্তি পেতে। একজন শিক্ষার্থী যখন বিশ^মানের শিক্ষার্থী হতে চায়। তখন যে প্রেরণা ও সাহসের দরকার। যখন বঙ্গবন্ধুর এ অবয়বের দিকে তাকাবে- তখন সে শক্তি পাবে, সাহস পাবে।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজে প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ‘মুক্তির প্রেরণা’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন। এরআগে ফিতা ও কেক কেটে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন করেন অতিথিরা। লক্ষ্মীপুর পৌরসভার অর্থায়নে ম্যুরালটি স্থাপন করা হয়। এটি বৃহত্তম নোয়াখালীর মধ্যে সবচেয়ে উঁচু ম্যুরাল বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এতে বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টিনন্দন ছবি পাশাপাশি দেশের পতাকাও স্থান পেয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মাসের ভাষণটি হচ্ছে পৃথিবীতে যারা মুক্তি চায়, তাদের মুক্তির প্রেরণা। এ ভাষণটি শুধু বাংলাদেশ বা এ উপমহাদেশের মানুষের জন্যে কোন মুক্তির দলিল নয়। পৃথিবীর যেখানে মানুষ মুক্তি চায়, যেখানে মানুষ স্বাধীনতা চায়, যেখানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে চায়- সেখানেই এ ভাষণটি তাদের জন্য মুক্তির প্রেরণা।

কলেজ অধ্যক্ষ মাহবুবুল করিমের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল, বিশেষ অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন ও লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ।

এসময় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ নুর-এ-আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম শাহজাহান কামাল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকি, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মহসিন কবির সাগর ও সাধারণ সম্পাদক সেবাব নেওয়াজ প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু তাহের ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর কলেজ প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ৪ দিন পর বিজয় দিবসে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল মঞ্চটির উদ্বোধন করেন। পৌরসভার অর্থায়নে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মাইন উদ্দিন পাঠান মঞ্চ নির্মাণের পরিকল্পনাকারী ছিলেন।

সেই মুক্ত মঞ্চেই বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করে নতুন নামকরন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন