নিজস্ব প্রতিবেদক: ছাত্রজীবনেই এম এ তাহের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য তিনি ভারতে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। সেখানে তিনি রাজনগর প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে মুজিব আদর্শের সদস্য হিসেবে আটিলারী ভারী অস্ত্র চালানোর জন্য প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণ শেষে তিনি পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে তিনি সক্রিয়ভাবে সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে ভারী অস্ত্র চালনায় দক্ষ ও অভিজ্ঞ হওয়ায় আটিলারি গ্রুপ কমান্ডার হিসেবে পশুরাম, মহুরী নদী, কোম্পানীগঞ্জ, রামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, রায়পুর, চাটখিল ও বেগমগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় যুদ্ধ করেন। মুজিব আদর্শের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হওয়ায় তিনি এসব এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা তাহের ১৯৫৩ সালের ৮ নভেম্বর লক্ষ্মীপুরের বাঞ্চানগর এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আনোয়ারুল হক ও আঞ্জুমা খাতুন দম্পতির ছেলে। দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী থাকার পর শনিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে লক্ষ্মীপুর শহরের পিংকি প্লাজায় তিনি শেষ নিঃশ^াস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ৬৯ বছর।
পারিবারিক সূত্র জানায়, তাহের দীর্ঘদিন ধরে দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত ছিলেন। দেশ-বিদেশে বিভিন্ন হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নিয়েছেন। গত কয়েক মাস ধরে তিনি শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি মুজিববাদী তাহের এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবেও তাঁর পরিচিতি ছিল। রোববার (১৯ মার্চ) বেলা ১১ টার দিকে লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাঁর নামাজের জানাযা হওয়ার কথা রয়েছে। লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাঞ্চানগর এলাকায় তাঁর প্রতিষ্ঠিত মহিউস সুন্নাহ জালালিয়া মাদ্রাসার কবরস্থানে তাঁর মরদেহ দাফন করা হবে।