বশিকপুরে যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতা হত্যা : আরেক আসামি রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক : লক্ষ্মীপুরে আলোচিত যুবলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিব ইমাম হত্যা মামলার আসামি তারেক আজিজের ৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৮ মে) বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী অঞ্চল (চন্দ্রগঞ্জ) আদালতের বিচারক আনোয়ারুল কবির এ নির্দেশ দেন।

অভিযোগ রয়েছে, আসামি তারেক মোবাইলফোনে কল করে পোদ্দার বাজার থেকে নোমানকে নাগেরহাটের দিকে যেতে বলেছে। সেখানে যাওয়ার পথেই নোমান ও রাকিবকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। তারেক বাহিনী প্রধান আবুল কাশেম জিহাদীর ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পরিচিত।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রবিবার (৭ মে) তারেককে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। প্রধান আসামি কাশেম জিহাদীকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বেলায়েত হোসেন আরও বলেন, হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ১২ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরমধ্যে এজাহারভুক্ত ৮ জন ও অজ্ঞাতনামায় ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার ৩ নম্বর আসামি দেওয়ান ফয়সাল ও ১৮ নম্বর আসামি কদু আলমগীর হত্যার ঘটনায় জড়িত ছিলেন বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আদালত।

তারেক সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের নন্দীগ্রামের মৃত রফিক উল্যার ছেলে। তিনি হত্যা মামলার ১০ নম্বর আসামি।

প্রসঙ্গত, ২৫ এপ্রিল রাতে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দারবাজার এলাকায় জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নোমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এসময় সন্ত্রাসীরা তাঁদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মোবাইল নিয়ে যায়। এঘটনায় নোমানের বড় ভাই ও বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে ৩৩ জনের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কাশেম জিহাদীকে প্রধান করে ১৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫ জনকে আসামি করা হয়।

আরও পড়ুন