তিন বছরে ৪০৪ প্রবাসী নারী কর্মীর মৃত্যু: রামরু

গত তিন বছরে বিদেশে কর্মরত ৪০৪ জন নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে অভিবাসন নিয়ে কর্মরত সংগঠন রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিট (রামরু)। তাদের বেশিরভাগের বয়সই ৪০ বছরের নিচে।

রামরু জানিয়েছে, ৬৯ শতাংশ নারী শ্রমিকের মৃত্যুর কারণ স্বাভাবিক লেখা হলেও বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয়। এ নিয়ে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, বিদেশে শ্রমবাজার নষ্টের শঙ্কায় এসব মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা যাচ্ছে না।

প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুুযায়ী, তিন বছরে বিদেশ থেকে এসেছে ৪০৪ জন নারী শ্রমিকের মরদেহ। তাদের মধ্যে ২২৭ জন বা ৬৯ শতাংশের ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ লেখা ছিল স্বাভাবিক। সবচেয়ে বেশি নারী শ্রমিকের মরদেহ এসেছে সৌদি আরব থেকে।

রামরু জানিয়েছে, বড় রোগ থাকলে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বিষয়টি ধরা পরার কথা। তাই মৃত্যু সনদে ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’ লেখা নিয়ে সন্দেহ করছেন মৃত শ্রমিকের স্বজন।

রামরু পরিচালক (প্রোগ্রাম) মেরিনা সুলতানা বলেছেন, প্রতিটি মৃত্যুর ক্ষেত্রেই দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত প্রয়োজন। দূতাবাসগুলোকেও শ্রমিক মৃত্যুর কারণ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে হবে।

প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘যেই বয়সসীমা বলা হচ্ছে সেটি আসলেও গ্রহণযোগ্য না। তবে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট দেশে থাকা অবস্থাতেই করতে হবে। আর যেহেতু কূটনৈতিক বিষয় আছে এখানে, তাই কাজ করতে হয় সাবধানে। শ্রমবাজার ঠিক রাখতে হবে। দেখা যাক কি করা যায়। কাউকে না কাউকে বলতে হবে, অভিযোগ করতে হবে।’

অনেক ক্ষেত্রেই এসব মৃত্যুর খবর স্বজনরা জানতে পারেন অনেক পরে। কোন কারণে ছয় মাস পেরিয়ে গেলে ক্ষতিপূরণও পায় না নিহতের পরিবার।

আরও পড়ুন