রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে মোহাম্মদ বিন মাসুম নামের এক কথিত ছাত্রলীগনেতার বিরুদ্ধে ইয়াছিন হোসেন (ইমরান) নামের এক পথচারীকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মোবাইল ছিনতাই,নগদ ৬০হাজার টাকা লুটপারেটর অভিযোগ উঠেছে।
পথচারী ইমরান মধ্য করপাড়া গ্রামের সিংহের বাড়ির শেখ তাহেরুল ইসলামের ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সন্ধায় উপজেলার ৮নম্বর করপাড়া ইউনিয়নের ফতেহপুর ব্রীজের উপর।
উপজেলার ৬নম্বর লামচর ইউনিয়নের ছাত্রলীগ নেতা মোঃ বিন মাসুম ও তার সহযোগী রাতুল, কাউছার হোসেন সহ অজ্ঞাত ৫-৭ জনের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ চক্র এঘটনা ঘটিয়েছেন। সৃষ্ট ঘটনায় ভূক্তভোগী ইমরান বাদী হয়ে মোহামম্মদীয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ছাত্রলীগ নেতা মাসুমকে প্রধান আসামী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইমরান চাটখিল থানাধীন সাহাপুর বাজারের বিসমিল্লাহ ইলেকট্রনিক্স চাকরি করেন। এরই সুবাদে বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক বাকী টাকা কালেকসনের জন্য পশ্চিম করপাড়া গ্রামে আসার সময় ফতেহপুর ব্রীজের উপর আসলে ছাত্রলীগ নেতা মাসুম এবং সহযোগী রাতুল,বিপ্লব ও কাউছার সহ ৬/৭জন গতিরোধ করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ঠেকিয়ে পাশ্ববর্তী পরিত্যাক্ত বাগানে নিয়ে এলোপাড়াড়ি পিটিয়ে সাথে থাকা মোবাইল ও নগদ ৬০হাজার টাকা লুটপাট করে নিয়ে পশ্চিম করপাড়া মেম্বার আবুল কালাম টেলুর বাড়ির সামনে ফেলে রেখে চলে যায়।
একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন আহত ইমরানকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়।
মধ্য করপাড়া ওয়ার্ডের মেম্বার আলাউদ্দিন জানান, বিষয়টি শুনেছি। তবে এরা ছাত্রলীগ কর্মী হওয়ার কারনে বেশী কিছু বলতে চাই না। আমারে মাফ করেন।
পশ্চিম করপাড়া ওয়ার্ডের মেম্বার আবুল কালাম টেলু জানান, আমার বাড়ির সামনে ফেলে রেখে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে তারা। পরে বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার পর এখন চিন্তামুক্ত হয়েছি।
করপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদ মির্জা জানান, বিষয়টি আমি জানিনা। আমাকে কেই জানাইনি।
পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ মমিনুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এই ঘটনায় একটি অভিযোগ হয়েছে। অভিযুক্তদের পরিবারকে আগামীকাল ৪টার মধ্যে সকলকে থানায় হাজির করার জন্য বলা হয়েছে। অন্যথায় এই ঘটনার মামলা হবে।