শত ফুল ফুটতে দিন, সবচেয়ে সুন্দরটা বেছে নেব : প্রধানমন্ত্রী

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার জন্য নতুন করে অনেকেরই রাজনৈতিক মাঠে তৎপরতা প্রসঙ্গে দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শত ফুল ফুটতে দিন, যে ফুল সবথেকে বেশি সুন্দর, সেটা বেছে নেব।

প্রধানমন্ত্রী বুধবার দুপুরে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। সাম্প্রতিক সুইজারল্যান্ড ও কাতার সফরের সম্পর্কে গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন তিনি।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আমলাসহ অনেকের তৎপর হওয়ার কারণে মাঠপর্যায়ের রাজনীতিকদের মধ্যে আলোচনা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে গণতন্ত্র আছে, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা আছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাগ্রহণের পর দেশে স্থিতিশীল পরিস্থিতি আছে। সার্বিক উন্নতি হয়েছে, দেশ এগিয়ে গেছে। মানুষের আস্থা বেড়েছে। আয় বেড়েছে। এসব পরিস্থিতিতে প্রার্থী হতে অনেকেরই আকাঙ্ক্ষা থাকবে। কিন্তু কাকে প্রার্থী বানানো হবে না হবে, সেটা আমাদের দল দেখবে। অনেকেই প্রার্থী হতে পারে, শত ফুল ফুটতে দিন। যে ফুল সবথেকে বেশি সুন্দর সেটা আমি বেছে নেব।’

আওয়ামী লীগ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় জানিয়ে দলের সভাপতি বলেন, ১৯৭৫ সালের পর দেশে কোনো ভোটের অধিকার ছিল না। সব এক জায়গায় বন্দি করে রাখা হতো। আমরাই জনতার ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছি। যারা এর বিরুদ্ধে বলছে, তারা তো জনগণের কাছে যায় না।

আওয়ামী লীগ ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছে বলে যারা প্রচার চালায় তাদের কড়া সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, যারা আমাদেরকে ভোট চোর বলে তারা ভোট ডাকাত। ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তার দল আওয়ামী লীগের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর ইলেকশন বলে কিছু ছিল না। ভোটের অধিকার ছিল না। আমরাই আন্দোলন করে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছি। এখন অনেকে অনেক কথা বলতে পারে। তাদের কথা আলাদা। তারা একটা পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইবে।

শেখ হাসিনা বলেন, সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে, আমরা ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করলাম আমাদেরই বলে ভোট চোর। আমাদের যারা এটা বলে তারা তো ভোট ডাকাত।

দেশের সচেতন নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আমি মনে করি দেশের যে সচেতন নাগরিক তারা এটাকে গুরুত্ব দেবেন না। তারা বিবেচনা করবে ২০০৯ সালের আগে দেশের অবস্থা কী ছিল আর এখন কী দাঁড়িয়েছে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী এক প্রশ্নের জবাবে আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন। দেশে আগাম নির্বাচন দেওয়ার মতো কোনো অবস্থা হয়নি বলে মনে করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী গত ১৪-১৫ জুন সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড অফ ওয়ার্ক সামিট : সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’-এ যোগ দিতে দেশটি সফর করেন। তার আগে গত ২৩-২৫ মে কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় কাতার ইকোনমিক ফোরামে যোগ দেন সরকারপ্রধান।

আরও পড়ুন