‘ফেনী পৌর এলাকার বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় বেওয়ারিশ কুকুরের উৎপাত আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। মেয়র মহোদয় শান্তি কোম্পানি রোডের বাসিন্দাদের কুকুর থেকে বাঁচান’- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে এমন পোস্ট দিয়ে কুকুরের হাত থেকে বাঁচতে পৌর মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ কেবিএম জাহাঙ্গীর আলম।
ফেনী জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ২ দিনে কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ১২ জন, যাদের অধিকাংশ শিশু ও নারী। তারা সকলেই শহরের নাজির রোড, মিজান পাড়া ও পাঠানবাড়ি এলাকার বাসিন্দা।
কুকুরের কামড়ে আহত এক শিশুর বাবা শেখ ছাহেল নামে পৌর এলাকার এক ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, পরিবেশবাদী আর পৌরসভা ঠেলাঠেলি করে কুকুর না মারায় আমার ছেলেকে কুকুর কামড় দিয়েছে। রাতে বাসায় ঢোকা যায় না কুকুরের কারণে। কুকুরের প্রতি যার ভালোবাসা বেশি, তারা ঘরে নিয়ে যান। আপনারা গাড়িতে চলাচল করেন। আপনারা কি বুঝবেন?
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের জলাতঙ্ক বিভাগের ইনচার্জ আরিফুর রহমান জানান, তীব্র গরম কিংবা খাবার সংকটের কারণে বেওয়ারিশ কুকুরের উৎপাত বেড়ে যায়। এ সময় কুকুর পাগল হয়ে এদিক-ওদিক ঘুরে আর যাকে পায় তাকে কামড়ে আহত করে। গত দুদিনে ফেনী পৌর এলাকার নাজির রোড, মিজান পাড়া, পাঠানবাড়ি এলাকা থেকে কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে আমাদের এখানে ১২ জন ব্যক্তি চিকিৎসা নিয়েছেন। যাদের মধ্যে এক শিশুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
শহরের মিজান পাড়া এলাকার বাসিন্দা মেজবাহ উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভা কর্তৃক বেওয়ারিশ কুকুর নিধনে কোনো কার্যক্রম না নেওয়ায় শহরের অলিতে-গলিতে বেওয়ারিশ কুকুরের উৎপাত আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। নিজেদের পাশাপাশি শিশুদের নিয়ে সবসময় আতঙ্কে থাকি। শিশুদের বাসার বাইরে একা যেতে দিতে ভয় লাগে কখন কুকুর আক্রমণ করে।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু কুকুর নিধনের কিছু আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেহেতু কি ব্যবস্থা গ্রহণ করলে পৌরবাসী কুকুর আক্রমণ থেকে রেহায় পাবে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ফেনী পৌরসভার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
এ ব্যাপারে ফেনী পৌরসভার পদক্ষেপ সম্পর্কে জানিয়ে পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী বলেন, পরিবেশবাদীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কুকুর নিধনে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। প্রচলিত কুকুর নিধন পদ্ধতির বাইরে ভিন্ন উপায় নিয়ে আমরা ভাবছি।