নোয়াখালীর সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে জেলা পাসপোর্ট দালাল চক্রের ১৭ সদস্যকে হাতে নাতে আটক করেছে র্যাব সদস্যরা।
রোববার (২৭ আগস্ট) দিনব্যাপী অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৬০টি পাসপোর্ট ও বিভিন্ন কাগজপত্র জব্দ করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব-১১ এর সিপিসি-৩ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান।
আটককৃত দালালরা হলো- ফারুক আহম্মদ (৩৩), আসাদুজ্জামান রুবেল (৩৬), হোসাইন হাবিব রূবায়েত (২৩), মো. মহিনউদ্দিন হৃদয় (৩৭), ফারুক আহম্মদ (৩৩), মো. আনোয়ার (৩৩), শাহাদাত হোসেন শাকিল (২২), সালাহউদ্দিন (৩৮), মো. রাসেল (২), আব্দুর রহিম (২৯), মোবারক হোসেন (২৩), পারভেজ হোসেন (২৮), মো. রেদওয়ান (২৮), হাসানুজ্জামান হাসান (৩৮), আবু নোমান (৩২), নাছির উদ্দিন (২২), মো. আমির হোসেন সজিব (২১) ও মো. ওমর ফারুক (২১)।
র্যাব-১১ সূত্রে জানা যায়, আটকৃতরা নোয়াখালী জেলার পাসপোর্ট দালাল চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা পরস্পর যোগসাজসে জনসাধারণের নিকট থেকে পাসপোর্ট বানিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এছাড়া নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানা এবং বেগমগঞ্জ থানার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের আশপাশ এলাকায় সিন্ডিকেট তৈরি করে তাদের উক্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। তাদের সিন্ডিকেটের মাধ্যম ছাড়া জনসাধারণকে পাসপোর্ট করতে বিভিন্ন ধরণের বাধার সম্মুখীন হতে হয়।
র্যাব-১১ এর সিপিসি-৩ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আটককৃত দালালরা অল্প সময়ে পাসপোর্ট করে দেওয়ার প্রলোভন দেখানোসহ বিভিন্ন কৌশলে জনসাধারণের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে প্রতারণা করে আসছিল। পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়া, ভুয়া সিল, সত্যায়ন, জাল ব্যাংক ভাউচার প্রদান, ভুয়া চিঠিপত্র তৈরি করা, ভুয়া পাসপোর্ট প্রদান করে জনসাধারণকে হয়রানি করে আসছিল।
তিনি আরও বলেন, এ সময় তাদের কাছ থেকে পাসপোর্ট করে দেওয়ার নামে বিভিন্ন কাগজপত্রও উদ্ধার করা হয় এবং তারা নিজেদের পাসপোর্ট দালাল চক্রের সদস্যের কথা স্বীকার করেন। পাসপোর্ট দালাল চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।