বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র নবম বার্ষিক দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা সংলাপ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এই সংলাপ শুরু হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে এই সংলাপে নেতৃত্ব দিচ্ছেন রাজনৈতিক-সামরিক বিষয়ক ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মিরা রেজনিক। আর বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন উত্তর আমেরিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সংলাপই সরকারি পর্যায়ে মার্কিন উপ-সহকারী সচিবের একমাত্র কর্মসূচি। এর বাইরে মন্ত্রী বা সচিবের সঙ্গে তার কোনো সাক্ষাৎ নেই।
তবে কূটনৈতিক এবং সরকারি বিভিন্ন সংস্থার দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, সোমবার মধ্যাহ্ন থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মিরা রেজনিক একাধিক বৈঠক করেছেন। যার মধ্যে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির একজন নেত্রীও রয়েছেন। মার্কিন দূতাবাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে তার আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময় হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
এর আগে রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) নিরাপত্তা সংলাপ নিয়ে ওয়াশিংটনের মিডিয়া নোটে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল আঞ্চলিক উন্নয়ন, মানবাধিকার, নিরাপত্তা সহায়তা এবং সন্ত্রাসবাদ দমন নিয়ে আলোচনা করবে। নিরাপত্তা সংলাপ একটি বার্ষিক বেসামরিক আয়োজন, যেখানে আমাদের নিরাপত্তা সম্পর্কের সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা ইন্দো-প্যাসিফিক আঞ্চলিক সমস্যা, নিরাপত্তা ও মানবাধিকার, সামরিক সহযোগিতা, শান্তিরক্ষা, নিরাপত্তা সহায়তা এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আলোচনা করবে। এ সংলাপ আমাদের দুই সরকারের মধ্যেকার সর্বাঙ্গীণ নিরাপত্তা সম্পর্কের অংশ।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের নিরাপত্তাবিষয়ক অংশীদারিত্ব অত্যন্ত শক্তিশালী এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে আমাদের দুটি দেশের স্বার্থ অভিন্ন। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে মুক্ত, অবারিত, শান্তিপূর্ণ এবং সুরক্ষিত রাখার ক্ষেত্রে দেশ দুইটির দৃষ্টিভঙ্গি একই ধরনের। এই পারস্পরিক লক্ষ্যগুলো অর্জনে সারাবছর বিভিন্ন ধরনের সংলাপ আয়োজিত হয়।
এর আগে ঢাকায় গত ২৩ ও ২৪ আগস্ট দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশি সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বেসামরিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।