লক্ষ্মীপুরের মেঘনা উপকূলীয় রামগতি ও কমলনগর উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়ন এলাকা ঘোষণা করার লক্ষ্যে এলাকার ঘরে ঘরে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হলেও কাঙ্ক্ষিত আলো দিতে ব্যর্থ বিদ্যুৎ বিভাগ। গত কয়েকদিনে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ এ দুই অঞ্চলের বিদ্যুতের প্রায় এক লাখ ১৯ হাজার গ্রাহক।
স্থানীয় গ্রাহকদের অভিযোগ, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অর্ধেক সময়ও বিদ্যুৎ মিলছে না। লোডশেডিংয়ের কারণে বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বিদ্যুতের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাও।
লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা গেছে, পল্লী বিদ্যুতের প্রায় এক লাখ ১৯ হাজার গ্রাহকের মধ্যে রামগতি উপজেলায় ৬৩ হাজার ও কমলনগর উপজেলায় ৫৬ হাজার। গ্রাহকদের চাহিদা ও সরবরাহের ঘাটতি সমন্বয় করতে লোডশেডিং করতে হচ্ছে।
কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের চরপাগলা গ্রামের বাসিন্দা হাবিব উল্যাহ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে রাতে এলাকায় প্রায় অর্ধেক সময় বিদ্যুৎ থাকে না। রাতের শেষভাগে বিদ্যুতের দেখা মিললেও সকালে আবার চলে যায়। দুপুরে বিদ্যুৎ এলেও কিছুক্ষণ থেকে আবার চলে যায়।
রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার এলাকার জহির উদ্দীন বলেন, কয়েকদিন ধরে এলাকায় লোডশেডিং বেড়েছে। দিন-রাতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০-১২ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না।
কমলনগর করইতলা বাজারের ফটোকপি দোকানদার রাকিব জানান, তার ব্যবসা বিদ্যুৎ নির্ভর। কয়েকদিন ধরে লোডশেডিং বাড়ায় ব্যবসা খুব খারাপ যাচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা গেছে, রামগতি ও কমলনগর উপজেলার এক লাখ ১৯ হাজার গ্রাহকের জন্য ২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন। কিন্তু এর বিপরীতে মাত্র ১২ মেগাওয়াট বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। যা চাহিদার তুলনায় অর্ধেক। অনেক সময় কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষ (এলডিসি) থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে লোডশেডিংও কিছুটা বেড়ে যায়।
কমলনগর উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম নিশিত সাহা বলেন, এ উপজেলায় বিদ্যুৎ চাহিদার তুলনায় অনেক কম পাওয়া যায়, তাই লোডশেডিং করতে হচ্ছে।
রামগতি জোনাল অফিসের ডিজিএম রেজাউল করিম বলেন, বিদ্যুতের চাহিদা দিনে ১০ মেগাওয়াট আর রাতে ১৪ মেগাওয়াট। কিন্তু সরবরাহ কম থাকায় এখন দিনে সাড়ে চার ও রাতে সাড়ে পাঁচ মেগাওয়াট পাওয়ায় লোডশেডিং হচ্ছে।