চেয়ারম্যানের নামের পাশে ‘ভোট চোর’ লেখার যে ব্যাখ্যা দিল আইসিটি কার্যালয়

জাতীয় তথ্য বাতায়নে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইউছুফ আলীর নামের পাশে ‘ভোট চোর’ লেখা একটি ছবি শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয় সমালোচনা।
চেয়ারম্যান ইউছুফ আলী নাম বিকৃতির জন্য ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা ওমর ফারুককে দায়ী করেন। তবে কমলনগর উপজেলা আইসিটি কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী প্রোগ্রামার জয়দ্বীপ রায় দাবি করেছেন, ঘটনাটি দুষ্কৃতকারীরা ঘটিয়েছে। তারা তথ্য বাতায়ন হ্যাক করে নিজেদের দখলে নিতে চেয়েছিল। ঘটনাটি জানার ১৫ মিনিটের মধ্যেই সমাধান করা হয়।

শুক্রবার রাতে চরমার্টিন ইউপি তথ্য বাতায়ন পাতায় এক তথ্যপ্রত্যাশী প্রবেশ করেন। এ সময় চেয়ারম্যানের নামের পাশে ‘ভোট চোর’ লেখাটি দেখেন তিনি। স্ক্রিনশট নিয়ে ফেসবুকে আপলোড করেন তিনি। তাৎক্ষণিক তা ছড়িয়ে পড়ে। পরে কর্তৃপক্ষের নজরে এলে তা মুছে ফেলা হয়।

চরমার্টিন ইউনিয়নের ইউডিসি উদ্যোক্তা মো. ওমর ফারুক বলেন, ’দুষ্কৃতকারীরা এডমিন পাসওয়ার্ড হ্যাক করে চেয়ারম্যানের নামের পাশে বিকৃত শব্দটি লিখে দিয়েছেন। ঘটনাটি আমাদের জানা ছিল না। ইউএনও মহোদয়ের কার্যালয় থেকে ঘটনাটি আমাকে জানানো হয়। পরে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে গেলে পাসওয়ার্ড নিচ্ছিল না। বিষয়টি নিয়ে সহকারী প্রোগ্রামারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। পরে নতুন পাসওয়ার্ড দিয়ে বিকৃত শব্দটি পরিবর্তন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সতর্ক থাকব।’

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান মো. ইউছুফ আলী বলেন, ‘আমি ঢাকায় ছিলাম। প্রথমে একজন সাংবাদিক ঘটনাটি আমাকে জানিয়েছেন। তাৎক্ষণিক ইউএনও মহোদয়কে ঘটনাটি অবহিত করি। এরপর ঠিক করা হয়েছে।‘

জয়দ্বীপ রায় বলেন, ‘ঘটনাটি ইউএনও আমাকে জানিয়েছিলেন। তাৎক্ষণিক ইউনিয়নের উদ্যোক্তার সঙ্গে কথা বলেছি। দুষ্কৃতকারীরা হ্যাক করে চেয়ারম্যানের নামের পাশে শব্দটি লিখে দিয়েছে। পরবর্তীতে উদ্যোক্তাকে দিকনির্দেশনা দিয়ে তা সংশোধন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে সেভাবেই পাসওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ’প্রতিদিন তথ্য বাতায়ন পেজটি বহু মানুষ ভিজিট করেন। এতে দুষ্কৃতকারীকে শনাক্ত করা কঠিন। এ ছাড়া আমাদের কাছে খুঁজে বের করার মতো কোনো মাধ্যম নেই। গোয়েন্দা সংস্থা চাইলে তাদের খুঁজে বের করতে পারেন।’

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, ’ঘটনাটি নিয়ে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, ’ঘটনাটি দায়িত্বপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রামারকে জানানো হয়েছে। তিনিই এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেবেন।’

আরও পড়ুন