লক্ষ্মীপুরে স্কুলছাত্রী অপহরণ মামলায় ৪ আসামি কারাগারে

নিজস্ব সংবাদদাতা: লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে নবম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে (১৫) অপহরণ মামলার আসামি মো. সাগরসহ ৪ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। এরমধ্যে সাগরকে বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে নোয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অপর আসামি শামিম, মাহফুজ ও রনি দুপুরে আদালতে আত্মসমর্পন করলে জামিন না মঞ্জুর করা হয়।

চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের নাজির ইয়াসিন আরাফাত বলেন, অপহরণ মামলায় তিন আসামি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট রামগতি আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করেন। আদালতের বিচারক ভিক্টোরিয়া চাকমা তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আসামি পক্ষের আইনজীবী একেএম নুরুল আমিন রাজু বলেন, আমরা ৩ জনের জামিন চেয়েছি। বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, অপহরণকারী সাগরকে নোয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া মামলার আরও ৩ আসামিকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছে বলে শুনেছি। তবে এখনো কোন কাগজপত্র আসেনি।

মামলা সূত্র জানায়, ভূক্তভোগী কিশোরী রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের চরনেয়ামত জনতা মডেল একাডেমীর ছাত্রী ও মধ্য চর নেয়ামত এলাকার বাসিন্দা। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে সাগর ওই ছাত্রীকে উত্যক্ত করতো। এনিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্যদের জানালে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ১০ সেপ্টেম্বর সকাল সোয়া ৮ টার দিকে ওই ছাত্রী বিদ্যালয় যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। পথিমধ্যে মধ্য চরনেয়ামত গ্রামের মনু হাওলাদারের বাড়ির সামনে থেকে সাগরসহ অন্যান্য আসামিরা জোরপূর্বক ছাত্রীকে একটি মাইক্রোবাসযোগে তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় একইদিন রাতে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৫ জনকে আসামি করে রামগতি থানায় মামলা দায়ের করেন।

রামগতি থানা পুলিশ জানায়, ১২ সেপ্টেম্বর সকালে নোয়াখালী থেকে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। তখন অভিযুক্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। ডাক্তারি পরীক্ষা ও আদালতে জবানবন্দি শেষে ১৩ সেপ্টেম্বর ছাত্রীকে তার বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ভূক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বলেন, আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। সাগরসহ সকল আসামিদের আমি উপযুক্ত বিচার চাই। মামলা তুলে নিতে তারা আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। আমি পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। আমার মেয়ে তাদের ভয়ে বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না।

আরও পড়ুন