নোয়াখালীতে কারাগারে এক হাজতির দুই চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা করেছেন আরেক কয়েদি। তাদের উদ্ধারের পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
রোববার সকাল ছয়টার দিকে নোয়াখালী জেলা কারাগারে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার হাজতির নাম নুর হোসেন বাদল (৩২)। তিনি উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা। অভিযুক্ত কয়েদির নাম মহিন উদ্দিন মহিন (৩০)। তার বাড়ি ওই ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে।
ভুক্তভোগীর মামার অভিযোগ, তিন মাস আগে মাদক সেবনের দায়ে মহিনকে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। আর বাদল দুই বছর ধরে জেলে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা এখনও চলছে। মহিন কলম দিয়ে ঘুমের মধ্যে বাদলের দুটি চোখ উপড়ে ফেলতে আঘাত করে। এতে দুটি চোখ মারাত্মক জখম হয়।
নোয়াখালী জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার সৈয়দ মো. জাবেদ হোসেন বলেন, জেলের বাহিরের শক্রতার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। সকালে কারাগার আনলক করার সুযোগ মহিন উদ্দিন বাদলকে ঘুমন্ত অবস্থায় কলম দিয়ে দুই চোখে আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে ভুক্তভোগী হাজতিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে ঢাকার জাতীয় চক্ষু হাসাপাতালে রেফার্ড করেন।
তিনি আরও জানান, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জেলকোর্ট অনুসারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নোয়াখালী কারাগারের জেলার আমিরুল ইসলাম বাদি হয়ে সুধারাম মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।