ফেনীতে কিশোরদের ভয়ে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিলেন ব্যবসায়ী!

ফেনী সদর উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়নের মধুয়াইতে বেড়েছে বখাটে কিশোরদের উৎপাত। এতে উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি বখাটেদের উৎপাতে আবু হানিফ ভূঁঞা (৫০) নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী তার প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছেন। তাদের ভয়ে বেশ কিছুদিন হলো প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছেন তিনি। একইভাবে হয়রানির শিকার হওয়ার কথা জানালেন বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী।

চওড়া পুকুর পাড়ের ব্যবসায়ী আবু হানিফ ভূঁঞা  জানান, বখাটে রানার নেতৃত্বে কয়েকবার তার প্রতিষ্ঠানে ঢুকে দোকানের অনেক মালামাল নিয়ে যায়। প্রতিবাদ করলে তাকে প্রাণনাশের হুমকিসহ নানাভাবে অপমান করেন। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হানিফের কাছে অভিযোগ দিলেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

 

সর্বশেষ ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে আবারও রাশেদ, সম্রাট এবং ওছমানের নেতৃত্বে দোকানে ঢুকে মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। পরে চলতি মাসের ৩ তারিখে এ ব্যাপারে ফেনী মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেন তিনি। তবে এখনও কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেন তিনি।

 

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের দেওয়া তথ্যমতে, বালিগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ মধুয়াই চওড়া পুকুর পাড় জামেয়া এমদাদিয়া এতিমখানা মাদরাসার পূর্বদিকে সড়কের দুই পাশে প্রায় ১৫ থেকে ২০টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এখানে ব্যবসায়ীরা অনেক বছর যাবৎ নির্বিঘ্নে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি স্থানীয় কিছু বখাটে কিশোরদের দৌরাত্ম্যে নিয়মিত হয়রানির শিকার হচ্ছেন তারা।

স্থানীয় জামেয়া এমদাদিয়া দক্ষিণ মধুয়াই এতিমখানা মাদরাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন, বখাটে ছেলেরা মাদরাসার মেয়ে শিক্ষার্থীদেরও ইভটিজিং করে। এটি নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে আছি। এ বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অবহিত করেছি।

 

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হানিফ বলেন, বিষয়টি আজই জেনেছি আমি। ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানবো।

 

বালিগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বাহার বলেন, ঘটনাটি অবগত হয়ে গত সপ্তাহে অভিযুক্ত কিশোরদের অভিভাবকদের সঙ্গে বসেছিলাম। তারা আর এ ধরনের অপরাধমূলক কাজ করবে না মর্মে সকলে একটি অঙ্গীকারপত্রে স্বাক্ষর করেছেন।

এসব বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রানা এবং ওসমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও সাড়া মেলেনি।

 

বালিগাঁও ইউনিয়নে বিট পুলিশিংয়ে দায়িত্বরত ফেনী মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক কমল ঢাকা বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার (৭ অক্টোবর) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীকে এ ব্যাপারে একটি মামলা দায়ের করতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন