আরও দুই জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। মুক্তি পাওয়া দুজনই ইসরায়েলি নারী। সোমবার (২৩ অক্টোবর) দিনগত রাতে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।
বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে দুজনকে হামাস মুক্তি দিয়েছে তারা হলেন ৮৫ বছর বয়সী ইউখেবেদ লিফশিতজ ও ৭৯ বছরের নূরিত কুপার। ইসরায়েল জানিয়েছে, রাফাহ ক্রসিংয়ে ওই দুই নারীকে মিশরীয় কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
গত ৭ অক্টোবর যখন হামাস ইসরায়েলের কিব্বুতজ এলাকায় হামলা চালায়, তখন এই দুজনকে জিম্মি হিসেবে ধরে এনেছিল। তবে এই দুই নারীকে মুক্তি দেওয়া হলেও তাদের স্বামীদের মুক্তি দেওয়া হয়নি।
লিফশিতজের মেয়ে শ্যারন লিফশিতজ মায়ের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মায়ের মুক্তিতে কী যে স্বস্তি পেয়েছি, তা বলে বোঝাতে পারবো না। তবে আমি হামাসের হাতে জিম্মি বাকি ২০০ নিরপরাধ ইসরায়েলি বন্দীর মুক্তি চাই।
এর আগে দুই মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দেয় হামাস। তাদের দুজনকেও কিব্বুতজ থেকে জিম্মি করা হয়েছিল। তাদের মুক্তির বিষয়টি জানিয়ে হামাস বলেছিল, মানবিক কারণে দুই মার্কিন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার মাধ্যমে হামাস মার্কিন জনগণ ও বিশ্বের কাছে প্রমাণ করতে চায় যে, বাইডেন ও তার প্রশাসনের দাবিগুলো ভিত্তিহীন।
এদিকে হামাস আরও দুই ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিলেও গাজায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। সোমবার ওই দুই জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার পরও দক্ষিণ গাজায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলে। তাতে অন্তত ৫৩ জন নিহত হয়েছে।
ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা নিউজের বরাতে তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ২৩ জন খান ইউনিসের। ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান খান ইউনিসের একটি আবাসিক এলাকায় হামলা চালালে এ প্রাণহানি ঘটে। এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪৫ জন, যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে, দক্ষিণ গাজার মিসর সীমান্তবর্তী অঞ্চল রাফাহে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছে আরও ৩০ জন। এখানে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো বেসামরিক স্থাপনা ও আবাসিক এলাকায় হামলা চালালে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি