লক্ষ্মীপুরে পাওনা টাকা চাওয়ায় সুদের কারবারি নুরনাহার বেগমকে (৩৫) পরিকল্পিতভাবে মোবাইলফোনে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করছে দুই বন্ধু।
এ ঘটনায় জড়িত সজিব হোসেন ও রুবেল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতার সজিব ও রুবেল সম্পর্কে বন্ধু। তারা সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসা গ্রামের বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) রাতে জেলা শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকা থেকে রুবেলকে র্যাব ও ভবানীগঞ্জের চরমনসা গ্রাম থেকে সজিবকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ ও র্যাব জানায়, ভুক্তভোগী নুরনাহার সুদের কারবারি ছিলেন। তার থেকে সজিব ১৫ হাজার টাকা সুদের ওপর নেয়। কিন্তু সজিব সময়মত টাকা ফেরত দিচ্ছিল না। সুদের টাকা দেয়নি। এতে বারবার তার কাছ থেকে নুরনাহার টাকা চাইতো। এ নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে সজিব তার বন্ধু রুবেলের সঙ্গে নুরনাহারকে হত্যা পরিকল্পনা করে।
বুধবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সজিব মোবাইলফোনে কল করে নুরনাহারকে টাকা দেওয়ার কথা বলে। এতে তিনি টাকা নেওয়ার জন্য বোরকা পড়ে ঘর থেকে বের হয়। পরে সজিব ও রুবেল তাকে পাশ্ববর্তী চরভূতা গ্রামের হাতেম আলীর সাঁকো এলাকায় নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এর জন্য সজিব তার বন্ধু রুবেলকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে ভাড়া করে।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সকালে ঘটনাস্থলে লোকজন নুরনাহারের লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়৷ পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়৷ রাতেই নুরনাহারের ছোট বোন ফেন্সি আক্তার বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতার রুবেলের ঘর থেকে নিহতের মোবাইল ও নাকফুল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
র্যাব-১১ এর স্কোয়াড কমান্ডার গোলাম মোর্শেদ বলেন, হত্যার ঘটনায় জড়িত রুবেলকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার রাতেই সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ফোনের কল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে আসামিদের শনাক্ত করা হয়। খুব অল্প সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।