বিদেশি অনেক সুশীল আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে হারাতে উঠে পড়ে লেগেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (১২ নভেম্বর) দুপুরে নরসিংদীতে ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা উদ্বোধন শেষে সুধী সমাবেশে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ২০০১ সালে আমরা ক্ষমতায় আসতে পারেনি। কিন্তু কেনো ক্ষমতায় আসতে পারেনি। আওয়ামী লীগ তো ভোট বেশি পেয়েছিল, জনগণের সমর্থনও ছিল। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অবাধ, নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন যদি হতো তাহলে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতো। কিন্তু আমি বিরূপ পরিবেশের সম্মুখীন হই।
তিনি বলেন, ২০০১ সালের ওই নির্বাচনের সময় আমার কাছে একটা প্রস্তাব এসেছিল বাংলাদেশের গ্যাস বিক্রি করতে হবে। কারণ আমার সময় আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন গ্যাস ফিল্ড বিভিন্ন কোম্পানিকে দেই। সেখানে আমেরিকান অনেকগুলো কোম্পানি এখানে আসে। শেভরন থেকে শুরু করে সব। ওই আমেরিকার কাছ থেকে আমার কাছে প্রস্তাব আসে গ্যাস বিক্রি করতে হবে।এবং ভারত সেই গ্যাস ক্রয় করবে। আমি রাজি হইনি। তাই ২০০১ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসতে পারিনি।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের অর্থনীতি চাঙা থাকে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছিলাম, সেভাবে এগিয়ে যেতে পারলে আমরা আরও উন্নতি করতাম। কিন্তু কোভিড মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ স্যাংশন-কাউন্টার স্যাংশন। এখন আবার ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণে আমরা কিছুটা পিছিয়ে পড়েছি ।
শেখ হাসিনা বলেন, এদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে যখন কাজ করছিলেন জাতির পিতা, তখন তাকে হত্যা করে দেশের ধ্বংস করা হয়েছে। ৭৫ এর হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন থামিয়ে দেওয়া হয়। জাতির পিতা শ্রমিকদের স্বার্থে সকল শিল্প ও কলকারখানা জাতীয়করণ করেন।
দেশের মানুষের প্রতি বিএনপির দায়িত্ববোধ করে ফিরবে প্রশ্ন রেখে সরকারপ্রধান বলেন, আবারও জ্বালাও পোড়াও শুরু করেছে বিএনপি-জামায়াত।
তিনি বলেন, কৃষকদের সারের পেছনে ছুটতে হবে না। সরকার সার কৃষকদের ঘরে পৌঁছে দেবে। আজকে বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক অথধিকার পূরণ করেছে সরকার। আত্মনির্ভরশীল হয়েছে দেশ। আমরা ভিক্ষুক জাতি হতে চাইনি। বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশকে সুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে যেতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার বলেও জানান তিনি।