প্রতিনিধি গাজীপুর :ঈদ যাত্রায় নাড়ির টানে ফিরতে শুরু করেছে ঘরমুখী মানুষ। দেশের উত্তরাঞ্চলমুখী সড়কে ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে যানবাহণের চাপ। মহাসড়কে যাত্রীদের তুলনায় যানবাহণের সংখ্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। কাঙ্খিত যাত্রী না পেয়ে টার্মিনালে বাড়ছে পরিবহনের দীর্ঘ সারি। সোমবার সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মহাসড়কে যাত্রীর তুলনায় দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যা বেশি। বাস কাউন্টার গুলোতে অন্যান্য দিনের চেয়ে যাত্রীর চাপ কিছুটা কম। তবে কাউন্টার মালিকরা বলছেন সন্ধ্যার পর যাত্রীর চাপ বাড়বে।চন্দ্রা টার্মিণাল এলাকায় শ্যামলী বাস কাউন্টারে পরিচালক ওহাব মিয়া জানান, ঈদ উপলক্ষে কয়েকদিন ধরেই মানুষ উত্তরের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। দীর্ঘ ছুটি পেয়ে আগে আগেই মানুষে চলে গেছে। আবার অনেকেই এখন যাচ্ছে তাই কাউন্টারে তেমন একটা চাপ নেই।সী লাইন পরিবহনের চালক হাসেম সরদার জানান, অন্যান্য বছর একদিনেই মানুষের ঢল নামে। তবে এবছর কয়েকদিন ধরেই মানুষ ভাগে ভাগে যাচ্ছে তাই চাপ কম। তবে শেষ দুইদিনে কিছুটা চাপ থাকবে।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ-২ (গাজীপুর) এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারওয়ার আলম বলেন, এবছর ঈদ যাত্রায় যানজট নিরসনে তিন স্তরে ছুটি দেওয়ার জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। এর মধ্যে কোনো কোনো পোশাক কারখানা ৫ এপ্রিল থেকে বেতন-বোনাস দিয়ে কর্মীদের ছুটি দিয়েছে বাকি কারখানার ৭, ৮ ও ৯ এপ্রিল ছুটি দেওয়া হবে। এর ফলে অনেকটাই কমেছে মহাসড়কে যাত্রী চাপ ও ভোগান্তি।
নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, ঈদ যাত্রায় আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছি। যানজট নিরসন, ও যাত্রী নিরাপত্তার ব্যাপারে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ রয়েছে।
এদিকে,মহাসড়কের মতোই যাত্রী চাপ টঙ্গী রেলওয়ে জংশন ও জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনে। রেলপথে দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া তেমন কোন ঘটনাই নজরে আসেনি। ঈদে ঘর মুখে যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দে বাড়ি ফিরতে পারছেন বলে দাবি করেছেন জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার
উল্লেখ্য, শিল্প অধ্যুষিত গাজীপুর ও আশপাশের শিল্প কারখানাগুলো তিন ধাপে ছুটি হবে। ৭ এপ্রিল ১৫ -২০ শতাংশ কারখানা, ৮ এপ্রিল ৪০-৫০ শতাংশ ও ৯ এপ্রিল বাকি কারখানা ছুটি দেয়া হবে।