সাতক্ষীরা ঃসাতক্ষীরা শহর থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকার বাঘের আক্রমণে নিহত বিধবাদের চোখের জলে ঈদ আনন্দ মিলান হতে বসেছে।ঈদ মানে আনন্দ কিন্তু আজ এইসব বিধবাদের অভাবের তাড়নায় ঈদের আনন্দ মুছে গেছে জীবন থেকে । আজ কি খাবে তারা জানে না, চোখে না দেখলে বুঝা যায় না এদের অবস্থা কি । ঈদের আনন্দ কি তারা আজ বোঝেনা, ঈদের দিন কি খাবে সে জুগার নেই তাদের ।আজ পর্যন্ত তারা কোন সাহায্য পায় না সরকারের কাছে থেকে বা অন্য জায়গা থেকে ।এভাবেই বর্ণনা দিলেন শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়নের গোদাড়া গ্রামের বাঘের আক্রমণে নিহত সুলাইমান শেখের স্ত্রী নুরনাহার খবর সংযোগ কে বলেন, ২০২২ সালের ১ মার্চ তার স্বামী সোলাইমান শেখ বন বিভাগ থেকে সরকারি পাস নিয়ে বৈধভাবে মধু কাটতে যান সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায়। ১২ ই মার্চ রাতে তার স্বামী সুলাইমান শেখ কে আগে আক্রমণ করে এবং সে নিহত হয় ।
এ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনা স্কুলে পৌঁছে তার স্বামীর লাশ নিজগ্রাম কাশিমাড়ী ইউনিয়নের ভোদারা গ্রামে নিয়ে আসেন। এবং সেখানেই তার দাফন সম্পন্ন করা হয় । স্বামীকে হারিয়ে আজ সে দিশাহারা,অভাবে তাড়নায় সে তার একমাত্র ছোট ছেলেকে নিয়ে লোকের বাড়িতে ঝিয়ে এর কাজ করে কোনমতে জীবিকা নির্বাহ করছে । তার ছেলে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে অনার্স পড়ে, কিন্তু লেখাপড়ার ব্যবহার বহন করতে পারছে না, সে কোন সাহায্য পায় সে ভূমি, সরকার ভূমিদের একটি বাড়ি দিয়েছে, কিন্তু সে বাড়িও পায়নি। বস্তিতে ভাড়া বাড়িতে থাকে সে। এইভাবে চলে তার সংসার। জড়িত কন্ঠে জানান, ঈদ কি আজ দু বছর আমি জানিনা,তবে আমার ছেলে যদি একটা চাকরি পেত তা হলে দুমুঠো খেয়ে বাঁচতাম। আমি খবর সংযোগের মাধ্যমে আমার ছেলের একটি কাজের ব্যবস্থা করে দিবেন আপনারা এটা আমার অনুরোধ।
একই গ্রামের বাঘের আক্রমণে নিহত দাউদ শেখের স্ত্রী আমেনা খবর সংযোগ কে জানান, আমি ভালো নেই, কেউ আমাদের খোঁজ রাখে না, বড় অভাব,বাঘের আক্রমণে স্বামী নিহত হওয়ার পর থেকে ভালো নেই, কোন মতে এক বেলা খেয়ে না খেয়ে জীবন পার করছি। আমার স্বামী কাজ করে কাট কাটতে গিয়েছিল জঙ্গলে, সাথে যারা গিয়েছিল তারা জানায় পাক দেখে লাফ দিয়ে পড়েছিল নদীতে এখানেই বাঘ আক্রমণ করে এবং সে মারা যায় ।বাঘের আক্রমনে নিহত একই গ্রামের সফেদ আলী শেখের স্ত্রী আমিরন আজ শয্যাশায়ী। সে ঘরেই থাকে, উঠতে পারে না, সে জানায় আমি ভালো নেই । আমিরুনের ছেলের বউ জানায়, আমার শ্বশুর নিহত হওয়ার পর থেকে কোন সাহায্য পাইনি আমার শাশুড়ি ।