প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দীন আজাদ সোহেল ও চর রমিজ ইউপি চেয়ারম্যান মুজাহিদুল ইসলাম দিদারের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । (১ ফেব্রুয়ারী) বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার চররমিজ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের হাজী জব্বার আলী সড়ক নামের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চররমিজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজাহিদুল ইসলাম দিদার তার ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হাজী জব্বার আলী নামক একটি রাস্তায় ৪ মেট্টিক টন টিআর প্রকল্পের আওতায় মাটির কাজ করান।
খবর পেয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা ও রামগতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দীন আজাদ সোহেল ও তার ছোট ভাই ফরান আযাদ কোয়েল ভেকু মেশিন নিয়ে রাস্তাটি ভেঙ্গে ফেলতে উপস্থিত হয়ে কাজে বাধা দেয়। এ নিয়ে দুই চেয়ারম্যানের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়।
এসময় চররমিজ ইউপি চেয়ারম্যান মুজাহিদুল ইসলাম দিদার ও উপজেলা চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দীন আজাদ সোহেলের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। হাতাহাতির এক পর্যায়ে উভয়ের গায়ের জামাও ছিঁড়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের ছোট ভাই ফরান আযাদ কোয়েলের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মুজাহিদুল ইসলাম দিদারের ৬ কর্মীকে মারধর করেন। এসময় উভয় পক্ষের লোকজন উত্তেজিত হয়ে উঠলে স্থানীয়দের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ ব্যাপারে চররমিজ ইউপি চেয়ারম্যান মুজাহিদুল ইসলাম দিদার আলম বলেন, ওই রাস্তায় ৪ মেট্টিক টন টিআর প্রকল্প বরাদ্দ দেয়া হয়। রাস্তার কাজ সম্পূর্ন হওয়ার পর উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার ছোট ভাই কোয়েল দলবল সহ ভেকু মেশিন নিয়ে রাস্তাটি ভেঙ্গে ফেলতে আসলে আমি কারণ জিজ্ঞাসা করলেই তারা আমার উপর চড়াও হয়।
রামগতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দীন আজাদ সোহেলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো: মোসলেহ উদ্দিন বলেন, কোন পক্ষই অভিযোগ করেনি। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে খবরটি শুনছেন তিনি।
রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আমজাদ হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি এইমাত্র শুনলাম। একজন উপজেলা চেয়ারম্যান অন্যজন ইউপি চেয়ারম্যান। দুজনই জনপ্রতিনিধি। এগুলো একেবারে উচিত নয়। তবুও আমি উভয়ের সাথে কথা বলবো।