সেই চাঁদাবাজীর অভিযোগে বন কর্মকর্তাসহ দুই কর্মচারি প্রত্যাহার

প্রতিনিধি: বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা এবং নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশের পর আলোচিত লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা বন কর্মকর্তাসহ দুই কর্মচারিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে । শনিবার সকালে (২৪ ফেব্রুয়ারী) লক্ষ্মীপুর সহকারী বন সংরক্ষক এর কার্যালয় এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তাদের তিনজননের বিরুদ্ধে মহাসড়কে পরিবহনে চাঁদাবাজির ঘটনা তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার বিকাল (২২ ফেব্রুয়ারী) নোয়াখালী বিভাগীয় কার্যালয়ে প্রত্যাহার করা হয়। রোববার থেকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে রামগতি উপজেলা বন কর্মকর্তা মোঃ বাসেদ হোসেনকে।
নোয়াখালি কার্যালয়ে-প্রতাহারকৃতরা হলেন, রামগঞ্জ উপজেলা বন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, কর্মচারি সাইফুল ইসলাম (নৌকা চালক) ও মোঃ রুহুল আমিন (বন প্রহরী)।
উল্লেখ্য, ২১ ফেব্রুয়ারী “লক্ষ্মীপুরে মহাসড়কে বনকর্মকর্তার চাঁদাবাজি” এ শিরোনামে বিভিন্ন জাতীয়, স্থানীয় ও নিউজ পোর্টালে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে তোলপাড় শুরু হলে টনক নড়ে জেলা প্রশাসনে ও বন অধিদপ্তরে। সংবাদের পরই অধিদপ্তর দুই কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে জেলা সহকারী বন সংরক্ষক কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেন।
প্রসঙ্গত- গত তিন মাস ধরে রামগঞ্জ উপজেলা বন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান তার কর্মচারি সাইফুল ইসলামকে দিয়ে রায়পুর-রামগন্জ মহাসড়কের পদ্দা বাজারে প্রতিদিন ২১-২৫টি গাছ বহনকারি ট্রলি ও ট্রাক থেকে ৫০০-৭০০ করে টাকা তুলতেন। এ নিয়ে রায়পুর ও রামগন্জের করাতকল মালিক ও লাকড়ি ব্যাবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এছাড়াও বন কর্মকর্তা লাইসেন্স না করায় হুমকি দিয়ে রামগন্জ শহরের সড়কের পাশে লাকড়ি ব্যাবসায়ী মনিরের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা, তার পাশের লাকড়ি ব্যাবসায়ী জসিমের কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা, কাটাখালির করাতকল মালিক থেকে ২০ হাজার টাকা, দিঘির পাড়ের করাতকল মালিক সেলিম থেকে ১০ হাজার টাকা আদায় করেন।
লক্ষ্মীপুর সহকারী বন সংরক্ষক ফিরোজ আলম জানান, রামগঞ্জ উপজেলা বন কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে সড়কে চাঁদাবাজির রিপোর্টি সত্য পেয়েছি। বনকর্মকর্তা সহ দুই কর্মচারিকে নোয়াখালি বিভাগীয় কার্যালয়ে প্রতাহার করা হয়েছে। তদন্ত চলমান রয়েছে। অধিদপ্তর থেকে আরও ব্যবস্থা নিবে। আপারতত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন রামগতি উপজেলা কর্মকর্তা বাসেদ।
উল্লেখ্য- বন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান প্রায় তিন মাস আগে রাঙ্গামাটি জেলা থেকে বদলি হয়ে রামগন্জ উপজেলায় যোগদান করেন।

আরও পড়ুন