প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের মেঘনা বাজার এলাকায় ঘরে ঢুকে গৃহবধু জোসনা আক্তারকে কুপিয়ে হত্যার ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।১৭ এপ্রিল (বুধবার) রাতে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা বাজার ও চট্রগামসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ১৮ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর নোয়াখালী লক্ষ্মীপুর সমিন্বত কার্যালয়ের কোম্পানী কমান্ডার সহকারী মো: গোলাম মোর্শেদ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে সিরাজ উদ্দিন, এরশাদ হোসেন, রিপন হোসেন জাকির হোসেন, রিমন হোসেন রাকিব হোসেন মো. ইব্রাহিমসহ ৭জন।এর আগে মঙ্গলবার নিহত জোসনা বেগমের বাবা ইছমাইল হোসেন বাদী হয়ে ১০জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত ৪জনকে আসামী করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
র্যাব জানায় হত্যাকান্ডের সাথে আসামীরা জড়িত। তারা হত্যার দায় স্বীকার করেছে। সবাইকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হবে। অন্য আসামীদেরও গ্রেফতারের অভিযান চলছে। চট্টগ্রাম অভিযানে র্যাব-১১ ও র্যাব-৭ যৌথ অভিযান চালায়।
উল্লেখ্য, রমজান মাসে ভবানীগঞ্জের মেঘনা বাজার এলাকার আলাউদ্দিনের বসতঘরের পাশের একটি পুকুরে ড্রেজিং এর মাধ্যমে মাটি উত্তোলন করে নেয় সিরাজ উদ্দিন। এরপর ৪/৫ দিন ওই পুকুরে আবারও পানি নিষ্কাশনের জন্য সেচ পাম্প বসায় সিরাজ।
এতে বাড়িঘর পুকুরে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় বাধা দিলে আলাউদ্দিনের সাথে সিরাজের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয় সিরাজ। এরই মধ্যে ঈদ উপলক্ষে ঢাকা থেকে বাড়ী আসেন সিরাজের ভাই পারভেজ হোসেন ও নিজাম উদ্দিন।
ওই বিরোধের জের ধরে ১৪ এপ্রিল রাত তিনটার দিকে আলাউদ্দিনের বসতঘর হামলা চালায় সিরাজ, মাহফুজ ও নিজামসহ ১৫ জনের একটি সংঙ্গবদ্ধ দল। এসময় দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আলাউদ্দিন ও তার স্ত্রী জোৎসনা বেগমকে গুরুত্বর আহত করে তারা। পরে স্থানীয়রা আহত স্বামী-স্ত্রীকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক জোৎসনা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন।
এসময় আলাউদ্দিনের অবস্থায় সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে আলাউদ্দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।