প্রতিনিধি : ৪ বছরের শিশু লামিয়া হত্যা মামলার আসামি শাহজালাল মোল্লা ওরফে লেকু মোল্লাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১৫ মে (বুধবার) রাতে অভিযান চালিয়ে তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে। শিশু লামিয়া ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের (১ নম্বর ওয়ার্ড) ভোরার চর উদয়পুর গ্রামের আল-আমীনের মেয়ে।থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) মো. কামাল উদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাড়ী থেকেই গ্রেফতার করা হয় হত্যা মামলার আসামি শাহজালাল মোল্লাকে। সেই শিশু লামিয়া হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী।
এ দিকে এ খবর পেয়ে এলাকার লোকজন আনন্দ মিছিল ও এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করেছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, ছোট্ট শিশু লামিয়া হত্যা মামলার এজার ভুক্ত আসামি। সেই চিহ্নিত গরু-মহিষ চোর চক্রের সদস্য। মেঘনার বুকে জেগে উঠা চর দখলবাজদের প্রধান। দীর্ঘদিন ধরে চর মেঘার মানুষ তার লুটপাটে অতিষ্ঠ ছিল। তার একটি বাহিনী রয়েছে।
মামলার বিবরণী সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৪ নভেম্বর (শুক্রবার) সকালে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়ন ও ভোলার সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী মেঘা নদীর কূল ঘেঁষে জেগে উঠা চর-মেঘায় বসবাসরত বাসিন্দা আল-আমীনের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে চিহ্নিত আলতু ডাকাত ও শাহজালাল মোল্লা ওরফে লেইক্কা।
দাবি করা ১০ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় ৫ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) রাত ১০টার দিকে সংঘবদ্ধ ডাকাত আলতু ডাকাত, শাহজালাল মোল্লা, করিম আখন্দ, রশিদ আখন্দ, ইব্রাহিম আখন্দ, ইয়াসমিন আখন্দ, ইসমাইল আখন্দ, আলিমুদ্দিন রাড়ী, মনির মাতব্বর, আলিম মাতব্বর, সাবের মাঝি, আল-আমীন, ফয়সাল, নিজাম মাতব্বর, মোসলেম ফকির, শাহ সর্দার, হারেছ সর্দার, সাইফুল ইয়াছিন মাতাব্বর, এরফান মোল্লা, আলমগীর মাতাব্বর, রাজিব চৌধুরী, গোলাম কিবরিয়া ওরফে খোকন চৌধুরী ও মো. কামাল সর্দার ভুক্তভোগী আল-আমিনের স্ত্রী রানু বেগমের ওপর হামলা করে বলে বিবরণী উল্লেখ করা হয়।
রানুকে বাঁচাতে গিয়ে ওইদিন হামলার শিকার হন- মো. মিন্টু খান, মামুন খান, মরিয়ম বিবি, রুমা আক্তার, জাহানারা বেগম ও রানুর কোলে থাকা চার মাসের ছোট্ট শিশু লামিয়া। আহত সবাই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশু লামিয়া।