প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের পাশে লাগানো শত শত গাছের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর বেশি দিন থাকছে না। সড়কের দুইপাশে থাকা গাছগুলো কাটা পড়ছে। ফলে মৃত্যুর প্রহর গুনছে এই সড়কের পাশে গাছ গুলো। এ সড়কটি সম্প্রসারণ করা হবে এই জন্য কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিয়েছে গাছ গুলো ফেলার জন্য। খুব শিঘ্রই দরপত্র আহবান করা হবে।জানা যায়, লক্ষ্মীপুর-রামগতি আঞ্চলিক সড়কের পাশে ১৩ হাজার ৪৪৫ টি, রামগতি উপজেলার ১৬৭২ টি এবং রামগঞ্জ উপজেলার ১২৫ টিসহ মোট ১৫ হাজার ২৪২ টি গাছ কাটার জন্য সম্প্রতি জেলা পরিবেশ ও বন উন্নয়ন কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হলে তা সভায় অনুমোদন করা হয়। ইতোমধ্যে ওইসব গাছে ‘নাম্বার করে রাখা হয়েছে । যে কোন সময় এ গাছগুলোর কাটা পড়বে।
লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগর অর্থনৈতিক অঞ্চলের সাথে লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও ফেনী জেলার সংযোগকারী সড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ প্রকল্পের আওতায় লক্ষ্মীপুর সড়ক বিভাগের আওতাধীন লক্ষ্মীপুর-চর আলেকজান্ডার-সোনাপুর-মাইজদী সড়কটি ৫.৫০ মিটার থেকে ৭.৩০ মিটার প্রশস্ততায় করা হবে। লক্ষ্মীপুর অংশে (লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়ক) ৫৪ কিলোমিটার সড়কে বনবিভাগের লাগানো গাছ রয়েছে। গাছ কাটার জন্য গত বছরের নভেম্বর মাসে সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে বন বিভাগকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ সড়কে ২০০৫ সালের দিকে বন বিভাগের রোপিত গাছের সংখ্যা ১৩ হাজার ৪৪৫ টি।
অপর দিকে রামগতি উপজেলার নুরিয়া হাজিরহাট-নুরু পাটওয়ারী সড়কের দুইপাশে রাস্তার সাইড ওয়েন্ডিং করার জন্য ওই সড়কের কেরামতিয়া বাজার থেকে ভূলুয়া ব্রিজ হয়ে পূর্ব দিকে চৌরাস্তা হয়ে জোগির মোড় পর্যন্ত বন বিভাগে সৃজিত গাছ কাটার জন্য গেল বছরের ডিসেম্বরে সংশ্লিষ্ট দফতরকে চিঠি দেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)। ওই সড়কে বন বিভাগের লাগানো গাছের সংখ্যা ১৬৭২ টি। ২০১১ ও ২০১২ সালের দিকে গাছগুলো লাগানো হয়।
উপকূলীয় বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (লক্ষ্মীপুর) ফিরোজ আলম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, সড়ক বিভাগ ও এলজিইডি পৃথক পৃথক ভাবে আমাদের সড়কের পাশে গাছ গুলো কাটার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি দেয়।
পরে বিষয়টি নিয়ে জেলা পরিবেশ ও বন কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হয়। পরে সিদ্ধান্ত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (নোয়াখালী) কে অবহিত করা হয়েছে। ওই অফিস থেকে দরপত্র আহবান করা হবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, লক্ষ্মীপুর অংশে (লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়ক) ৫৪ কিলোমিটার ৫.৫০ মিটার থেকে ৭.৩০ মিটার প্রশস্ততায় করা হবে। গাছ গুলো কেটে ফেলার পর সড়ক প্রসস্থকরণের কাজ শুরু হবে।
জেলা পরিবেশ ও বন উন্নয়ন কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান বলেন, গাছ কাটার আগে গাছ লাগাতে হয়। কিন্তু সবসময় হয়তো এটা হয়ে উঠে না। বিষয়টা নিয়ে আমরা বন বিভাগের সাথে কথা বলবো।