প্রতিনিধি: কোরআনে হাফেজ হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বেড়ে উঠেছে ১৩ বছর বয়সী মোহাম্মদ ফারহান। এরমধ্যে প্রায় ২১ পারা কোরআন হেফজও করেছে। কোরআন পড়তে তার বেশ ভালো লাগে। প্রতিনিয়ত কোরআন পড়াতেই সময় কাটতো তার। তবে দূরারোগ্য ক্যান্সারে থাবা দেয় তার জীবনে। থেকে যায় কোরআনে হাফেজ হওয়ার স্বপ্ন। এখন তার পুরো সময় কাটে দূরচিন্তায়। রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ^বিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। প্রায় ১ বছর ৩ মাস আগে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালের বিছানায় তার দিন কাটে। তবে সে বাঁচতে চায়। চায় স্বাভাবিক জীবন। সরকারি সহযোগীতা ও ধনাট্য ব্যক্তিদের সহযোগীতায় চিকিৎসার মাধ্যমে ক্যান্সার থেকে মুক্তি পেয়ে আবারও কোরআন মুখস্ত করে হাফেজ হওয়ার স্বপ্ন পূরন করতে চায় ফারহান।
ফারহান লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড চরচামিতা গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির মো. মাহফুজুর রহমানের ছেলে। সে স্থানীয় একটি হেফজ মাদ্রাসার ছাত্র। অচ্ছল এ পরিবারে একমাত্র উপার্জক তার বাবা মো. মাহফুজুর রহমান। তিনি ডান পায়ে প্যারালাইসড হয়ে ১৪ বছর ধরে ঘরে শয্যাশায়ী। আত্মীয়-স্বজনদের সহযোগীতায় সংসার চলে। নিজের কিছু নেই বললেই চলে। এক আত্মীয়ের জরাজীর্ণ একটি টিনশেড ঘরে বসবাস তাদের। অসুস্থ্য বাবা তার অক্ষমতাকে দায়ী করে ছেলের চিকিৎসার খরচ যোগাতে না পেরে কান্নাকে পুঁজি করে নিয়েছেন।তবে টাকার অভাবে চিকিৎসা অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় তার স্বপ্নও থমকে গেছে। তার স্বপ্ন পূরণে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সহযোগীতা চেয়ে আকুতি জানিয়েছে পরিবার।
মোহাম্মদ ফারহান বলেন, যখন ব্যাথা উঠে তখন খুব কষ্ট হয়। এ কষ্ট সহ্য করার মতো নয়। আমি অসুস্থ থাকতে চাই না। আমি বাঁচতে চাই। আমি মাদ্রাসায় গিয়ে সহপাঠিদের সঙ্গে কোরআন পড়তে চাই। আমি কোরআনে হাফেজ হয়ে একজন ভালো আলেম হতে চাই। আমার প্রতি দয়া করুন। আমাকে বাঁচতে সহযোগীতা করুন।
তার বাবা মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ছেলের চিকিৎসা চালাচ্ছে খুবই কষ্ট হচ্ছে। চিকিৎসায় সময় দিতে গিয়ে আয় উপার্জন প্রায় বন্ধ সকলের সহযোগীতা পেলে হয়তো ফারহানের চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
ফারহানের সহযোগীতার জন্য বিকাশ ও নগদ হিসাব নাম্বার ০১৮৮৪২১৬৯৫২ (ফারহানের মা আনোয়ারা বেগম) ও ব্যাংক হিসাব নং- ৩৯০২১০০০১৬০৫৯, সোনালী ব্যাংক, চন্দ্রগঞ্জ শাখা, লক্ষ্মীপুর।