গণধর্ষণের শিকার সেই ছাত্রী আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে চলে গেছে

প্রতিনিধি: ধর্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নেয়ার হুমকির ভয়ে গণধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রী (১৫) তার পরিবার নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে ঢাকায় চলে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলার চার আসামির মধ্যে একজন কারাগারে থাকলেও বাকি আসামিরা গত দুই মাস ধরে পলাতক থেকে মামলা তুলে নিতে অসহায় ও দরিদ্র পরিবারকে হুমকি দিচ্ছেন। ২৮ জুলাই সকালে সরেজমিনে গেলে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর দক্ষিন চরবংশী ইউপির কারিমিয়া আশ্রয়কেন্দ্রের বাসিন্দারা এসব জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান গত ১ জুন রাতে রায়পুর উপজেলার দক্ষিন চরবংশী ইউনিয়নের চরকাছিয়া গ্রামে দুই যুবক কর্তৃক গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পরেরদিন রাতে অসহায় মেয়েটির মা রায়পুর থানায় চার যুবক আমজাদ, লিমন, আলআমিন ও শাকিলকে আসামী করে গণধর্ষণ আইনে মামলা করেন।
ওই কিশোরীর মায়ের দায়ের করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন চরলক্ষি গ্রামের কারিমিয়া আশ্রায়নকেন্দ্রের অসহায় কৃষকের মেয়ে ও নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে (১৫) ঘটনার দিন সন্ধায় মোমবাতি কেনার জন্য মুদি দোকানে যায়। এসময় দোকানের পাশে ওঁৎ পেতে থাকে স্থানীয় চার যুবক আমজাদ, লিমন, আলআমিন ও শাকিল। মেয়েটি মুদি দোকান থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে ফেরার পথে আমজাদ মেয়েটিকে মারধর করে গলায় ছুড়ি ধরে সিএনজিতে তুলে আল আমিনের বাড়ীতে নিয়ে যায়। পরে দুইজনের পাহাড়ায় ওই ঘরেই লিমন ও আলআমিন পরপর গণধর্ষণ করে ।
মামলার আসামিরা হলেন, স্থানীয় কালু বেপারির হাট এলাকার জলিল মাস্টারের ছেলে মোঃ লিমন (২০), সৌদি প্রবাসি খোকা বেপারির ছেলে এক সন্তানের জনক আলআমিন (২৫), কৃষক মানিক বেপারি ছেলে আমজাদ (২০),  নাসির ঢালির ছেলে বিবাহিত মোঃ শাকিল (২২)।
মেয়েটির মা মোবাইল ফোনে জানান, আমি ও আমার স্বামী মেঘনার চরাঞ্চলে দিনমজুরের কাজ করি। মেয়েকে নির্যাতনের ঘটনায় সমাজের কাছে বিচার পাইনি। থানায় মামলা করেছি। এক আসামি কারাগারে ও অন্য আসামিরা গত দুই মাস ধরে পলাতক। পুলিশ আটক করতে পারছেননা। তাদের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিতে কয়েকদিন পর মোবাইলে হুমকি দিচ্ছে। এদের ভয়ে এক মাস আগে আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে ঢাকার গাজিপুরে আসছি।
কিশোরী গণধর্ষণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (এসআই) মধুসুধন দত্ত জানান, দুইজনের পাহাড়ায় দুই যুবক আশ্রয়কেন্দ্রের কিশোরীকে গণধর্ষণ করেছে। আমজাদ হোসেন নামের একজনকে কারাগারে পাঠানো হয় এবং অন্যদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মামলাটির বিষয়ে বাদির পরিবারকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা ও কারও সহযোগিতা পাইনা।

আরও পড়ুন