কুড়িগ্রামে বহুল আলোচিত ফেলানী হত্যার এক যুগ আজ। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় বাংলাদেশের কিশোরী ফেলানী। তার মরদেহ সীমান্তে কাঁটাতারে ঝুলে ছিল দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা। যা আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এই হত্যাকাণ্ডের এক যুগ পূর্তি পেরিয়ে গেলেও এখনও ন্যায়বিচার পায়নি ফেলানীর পরিবার।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভোরের দিকে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরছিলেন ফেলানী ও তার বাবা। সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ায় উঠতেই বিএসএফের গুলিতে সেই কাঁটাতারের ওপরেই ঢলে পরে ফেলানীর নিথর দেহ। সেখানে প্রায় ৫ ঘণ্টা ঝুলে থাকার পর মরদেহ সরিয়ে নেয় বিএসএফ এর সদস্যরা। ৩০ ঘণ্টা পর বিজিবির কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ।
পরবর্তীতে ভারত সরকার ফেলানী হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু করে। কিন্তু দীর্ঘ একযুগেও বিচার সম্পন্ন হয়নি। ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে বিচারিক কার্যক্রম ঝুলে থাকায় হতাশ ফেলানীর পরিবার ও স্বজনরা।
ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ও মা জাহানারা বেগম দীর্ঘদিন ধরে সন্তান হত্যার ন্যায় বিচার না হওয়ায় হতাশ তাদের গ্রামবাসীও। তাদের অভিযোগ, এমন হত্যাকাণ্ডের পরও বন্ধ হয়নি সীমান্ত হত্যা।
কুড়িগ্রাম জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর, এস.এম.আব্রাহাম লিংকন এর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, এই মামলায় শুনানি কয়েক দফা পিছিয়েছে। এরপর করোনার কারণে দীর্ঘদিন আর শুনানির দিন ধার্য হয়নি। এতে ঝুলে আছে ফেলানী হত্যার বিচার।
উল্লেখ্য, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কলোনীটারী গ্রামের শ্রমিক নূরুল ইসলামের মেয়ে ফেলানী। কাজের সন্ধানে পরিবার নিয়ে ভারতে গিয়ে সেখানেই ইট ভাটায় শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি।