পারভেজ হোসাইন,রামগঞ্জ সংবাদদাতা: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে বাঁশের বেড়া দিয়ে মানুষের চলাচলে বাধা সৃষ্টির আভিযোগ পাওয়া গেছে মোহাম্মদ হোসেন নামের স্থানীয় এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে ভুক্তভোগীরা। এঘটনায় গত ৫দিন ধরে অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে চার পরিবারের লোকজন। উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের ভোলাকোট গ্রামের বড় ভুঁইয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
রবিবার(২৭ আগস্ট) দুপুরে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের মধ্যে বাঁশের বেড়া দেয়া। সড়কের মাঝামাঝি কলা গাছের চারা লাগানো। এসময় জানা গেছে, ভুক্তভোগী নজরুল ইসলামসহ চার পরিবারের সদস্যদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার একমাত্র সড়ক এটি। এর আগে (২৩ আগষ্ট) বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের ভোলাকোট গ্রামের বড় ভুঁইয়া বাড়ির আবদুর রেজ্জাকের ছেলে মোহাম্মদ হোসেনের সাথে একই বাড়ির এনায়েত উল্লাহ ভুঁইয়ার ছেলে নজরুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, মাসুদ আলম, শাহাদাত হোসেনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল।
এরই সূত্র ধরে প্রথমে সোমবার সকালে ভোলাকোট কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ সড়কে বেড়া দেয় মোহাম্মদ হোসেন ও তার ছেলে সিহাব। পরে ওই দিন বিকালে ঈদগাঁ সড়কের বেড়া তুলে নজরুলদের বাড়ির সড়কটি নিজেদের সম্পত্তি দাবী করে জোরপূর্বক বাঁশের বেড়া দেয় মোহাম্মদ হোসেন ও তার ছেলে সিহাব ।
এসময় স্থানীয় লোকজন জানায়, নজরুলদের বাড়ির রাস্তার একাংশ মোহাম্মদ হোসেন তার পৈত্রিক সম্পত্তি বলে দাবী করে বিক্রি করতে চাইলে ৪০ হাজার টাকায় তা কিনে নেয় নজরুল গংরা। কিন্তু ওই জমি সরকারী সম্পত্তি হওয়ায় তা রেজিষ্ট্রি দিতে পারছিলনা মোহাম্মদ হোসেন। পরে মোহাম্মদ হোসেনের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা ফেরত নেয় নজরুল গংরা। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে সোমবার নজরুলদের বাড়ির রাস্তায় বেড়া দিয়ে দেয় মোহাম্মদ হোসেন ও তার ছেলে সিহাব।
অভিযুক্ত মোহাম্মদ হোসেনের সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তারে পাওয়া যায়নি। তবে তার ছেলে সিহাব হোসেন বলেন, আমরাই এখানকার গুন্ডা, মোস্তান। আপনি আমাকে ছিনেন? আমি ছাত্রলীগ করি, ভোলাকোট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আমি। ওরা(নজরুলরা) আমাদের কাছ থেকে জমি কিনে আবার সে টাকা তারা ফেরত নিয়ে গেছে। আমাদের টাকা ফেরত না দিলে আমরা তাদেরকে হাঁটতে দিবনা। এখানে সরকারের কোন জমি নেই এটা আমাদের জমি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মাইনউদ্দিন কাজল বলেন, নজরুলদের বাড়ির রাস্তায় হোসেনের বেড়া দেয়া ঠিক হয়নি। আমি বেড়া তুলে দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু যেহেতু সাংবাদিকরা আসছে তাই এখন আর তুলবো না। কে কিভাবে বেড়া তুলে দেয় তা আমি দেখে নিব।
এব্যাপারে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও শারমিন বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।