নিজস্ব প্রতিবেদক:
লক্ষ্মীপুরে কলেজ যাওয়ার পথে সুবর্ণা মুনতাহা রিজমিকে মারধরের ঘটনায় হামলাকারী তানজীদ আহম্মেদ রিয়ানসহ ৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত সোয়া ৮ টার দিলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আল-আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বিকেলে রিজমির নানা আব্দুল সাত্তার ভূঁইয়া এ মামলা দায়ের করেন।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই রিয়ান ও তার মা আত্মগোপনে রয়েছেন। তার খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি। তবে রিয়ানের বন্ধুরাসহ বিভিন্নজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রিজমি ও তার ঘনিষ্ঠ কিছু ছবি ছড়িয়ে দিয়েছে। এনিয়ে স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
অন্য আসামিরা হলেন রিয়ানের মা তাহমিনা আক্তার ও অজ্ঞাত ৫ জন। রিয়ান দক্ষিণ মজুপুর গ্রামের রাফি আহম্মদের ছেলে ও দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।
এজাহার সূত্র জানায়, রিজমি লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ও সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের লাহারকান্দি গ্রামের মুরাদ হোসেনের মেয়ে। কলেজ আসা-যাওয়ার পথে রিয়ানের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। রিয়ান ও তার মা তাহমিনা কৌশলে দুটি অলিখিত নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে রিজমির স্বাক্ষর নেয়। পরে রিয়ানকে রিজমির স্বামী দেখিয়ে জাল জালিয়াতি করে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ের এফিডেভিট করা হয়। ২৯ আগস্ট দুপুর সোয়া ১ টার দিকে কলেজ যাওয়ার পথে মদিন উল্যা হাউজিংয়ের সামনে রিয়ানসহ অজ্ঞাত আসামিরা তার গতিরোধ করে। একপর্যায়ে তাকে জোরপূর্বক সিএনজি চালিত অটোরিকশাযোগে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। যেতে রাজি না হওয়ায় তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মারে রিয়ান। এসময় চিৎকার চেচামেচি করলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিয়ান তার কপালে আঘাত করে। পরে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তাকে রাস্তায় ফেলে রেখা তারা পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
মামলার বাদি আব্দুল সাত্তার ভূঁইয়া বলেন, আমার নাতনিকে হত্যার উদ্দেশ্যে রিয়ান হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করলে তারা আমার নাতনিকে হত্যা করে লাশ গুম করবে বলে ভিবিন্নভাবে হুমকি দিয়েছে। হাসপাতালেও রিয়ানের লোকজন এসে হুমকি দিয়ে গেছে।
সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আল-আমিন বলেন, ভিকটিমের নানা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি তদন্ত চলছে।