নিজস্ব সংবাদদাতা: লক্ষ্মীপুরে পুলিশের করা দুই মামলায় কারাবন্দি বিএনপি নেতা হাছিবুর রহমানসহ ১৬ নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদল। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কমলনগর উপজেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে স্থানীয় হাজিরহাট বাজারে এ মিছিল করা হয়। নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ ফরমায়েশি দাবি করে বিক্ষুব্ধরা সরকার বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
এসময় কমলনগর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সাজ্জাদ হোসেন সাজু, যুগ্ম-আহবায়ক আখতার মাহমুদ, সদস্য সচিব জাফর আহমেদ ভূঁইয়া, ছাত্রদল নেতা ইসমাইল হোসেন, আশ্রাফ উদ্দিন সোহেল, জুয়েল আহমেদ, মাইন উদ্দিন, শামীম হোসেন, মো. রায়হান, মো. হেলাল, দাউদ হোসেন, তামীম হোসেন, মো. উসমানসহ অর্ধ-শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতেই ফরমায়েশি আদেশ দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অবিলম্বে কারবন্দি নেতাদের মুক্তি দিতে হবে। ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালত ৭ জনকে ও রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ৯ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। রোববার আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খাঁয়ের ভূঁইয়া, জেলা বিএনপি সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
কারাবন্দিরা হলেন লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক হাছিবুর রহমান হাছিব, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম, সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম রাজন, নাদিম মাহমুদ জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, লক্ষ্মীপুর পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবুল বারাকাত সৌরভ বুলেট, সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব বায়জিদ হোসেন ভূঁইয়া, বিএনপি নেতা বাবুল হোসেন, যুবদল কর্মী মো. সোহেল, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক হাসিবুর রহমান অভি, যুগ্ম-আহবায়ক ইসমাইল হোসেন রনি, জেলা ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক কাউসার হোসেন, সদর (পশ্চিম) উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহবায়ক জাকির হোসেন, পার্বতীনগর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মুরাদ হোসেন, লক্ষ্মীপুর পৌর ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক মুশফিক মাহমুদ সাদনান ও চররমনী ইউনিয়ন বিএনপি কর্মী বোরহান ভান্ডারি।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুলাই লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির ব্যানারে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে নেতাকর্মীরা। ওইদিন দায়িত্ব পালন কাজে বাধাসহ পুলিশকে আহত করার ঘটনায় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হোসেন বাদী হয়ে বিএনপি নেতা এ্যানি চৌধুরীকে প্রধান করে ২৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। বিস্ফোরক ও নাশকতার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান বাদী হয়ে আরও একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলাতেও বিএনপি নেতা এ্যানি চৌধুরীকে প্রধান করে ৩০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।