নাসিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আইসিসির

২০২১ সালে আবুধাবি টি-টেন লিগে পুনে ডেভিলসের অধিনায়ক ছিলেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার নাসির হোসেন। তবে, টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বাজে খেলেছিলো নাসিরের নেতৃত্বাধীন দলটিই। গ্রুপ পর্বের ৬ ম্যাচে ২ জয়ে ৮ দলের মধ্যে তারা হয়েছিলো ৮ম।

টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার পর থেকেই সম্ভাব্য বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিট। শেষ পর্যন্ত ক্রিকেটার ও কর্মকর্তাসহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে তারা কিছু দুর্নীতির অভিযোগ গঠন করতে পেরেছে। যে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশের একমাত্র ক্রিকেটার নাসির হোসেন।

আজ বিকেলে আইসিসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে এসব তথ্য। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটিতে আইসিসি লিখেছে, আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) পক্ষ থেকে এ অভিযোগ গঠন করেছে তারা। নাসিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী কোডের মোট তিনটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে।

যে আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তারা হলেন- কৃষাণ কুমার চৌধুরী (অন্যতম মালিক), পরাগ সাংভি (অন্যতম মালিক), আজহার জাইদি (ব্যাটিং কোচ), সানি দিলন (সহকারী কোচ), শাদাব আহমেদ (টিম ম্যানেজার), আরব আমিরাতের স্থানী ক্রিকেটার রিজওয়ান জাভেদ, সালিয়া সামান এবং নাসির হোসেন (বাংলাদেশের ক্রিকেটার)।

 

তবে এই আট অভিযুক্তের মধ্যে ৬ জনকে (কৃষাণ কুমার চৌধুরী, পরাগ সাংভি, আজহার জাইদি, রিজওয়ান জাভেদ, সালিয়া সামান এবং সানি দিলনকে প্রাথমিকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত সবাইকে ১৯ সেপ্টেম্বরের পর ১৪ দিনের মধ্যে অভিযোগের জবাব দিতে বলা হয়েছে আইসিসির পক্ষ থেকে।

২০২১ টি-টেন লিগের ম্যাচে দুর্নীতির চেষ্টা করা হয়েছিলো বলে অভিযোগ আইসিসির। যদিও সেই চেষ্টা নস্যাৎ করা হয়েছে। দুর্নীতি সফল করার সুযোগ পায়নি।

 

এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) মাধ্যমে আইসিসি ডেজিগনেটেড অ্যান্টি করাপশন অফিসিয়াল (ডাকো) নিয়োগ দিয়েছিলো টুর্নামেন্টটিতে ইসিবির অ্যান্টি করাপশন কোডের বাস্তবায়ন করার জন্য। সেই কর্মকর্তাই উপরোক্ত আটজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনয়ন করেন।

নাসির হোসেনের বিরুদ্ধে যে তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে, তার মধ্যে প্রথমটি হলো- আর্টিকেল ২.৪.৩-এ বলা হয়েছে, ৭৫০ ডলার মূল্যের উপহার সম্পর্কে আইসিসির অফিসিয়ালের (ডাকো) কাছে তথ্য দিতে না পারার ব্যর্থতা।

দ্বিতীয় অভিযোগ হচ্ছে- নিয়ম অনুযায়ী ডাকো’র কাছে যে কোনো ধরনের দুর্নীতির প্রস্তাব, এ সম্পর্কে কারও চেষ্টা সম্পর্কিত তথ্য না দিতে পারার ব্যর্থতা। তৃতীয় অভিযোগ হচ্ছে- অভিযোগ অস্বীকার, আইসিসি কর্তৃক পরিচালিত তদন্তে কোনো সহযোগিতা না করা।

বাকি সবার মধ্যে যে ৬জনকে প্রাথমিকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে- তাদের সবার বিরুদ্ধে ম্যাচ পাতানোর চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। মালিক এবং কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অভিযোগ হলো, তারা কিছু কিছু ক্রিকেটারকেও ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব দিয়েছিলো।

আরও পড়ুন