দুর্গাপূজা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ইলিশের প্রথম চালান রফতানি হয়েছে ভারতে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ৪৫ মেট্রিক টন ৮শ’ কেজি ইলিশ ভারতে গেছে।
ভারতে ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। অনুমতি পাওয়া ইলিশের প্রথম চালানটি ১২টি ট্রাকে করে ভারতে পাঠানো হয়েছে। কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে ইলিশের চালান গেছে।
এসব ইলিশ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- মাহিমা এন্টারপ্রাইজ, তানিসা এন্টারপ্রাইজ, সেভেন স্টার ফিস প্রসেসিং রিপা এন্টারপ্রাইজ ও প্যাসিফিক সি ফুড। ভারতের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এসআর ইন্টারন্যাশনাল, নাজ ইমপেক্স প্রাইভেট লিমিটেড, বিমল রায় ও বারখা বিকাস ফিস এজেন্সি।
চালানটি বন্দর থেকে ছাড় করাতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেন সিএন্ডএফ এজেন্ট এমি এন্টারপ্রাইজ এবং গনি অ্যান্ড সন্স। প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ধরা হয়েছে ১০ মার্কিন ডলার।
গত বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে ২ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হলেও মাত্র ১ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছিল ভারতে। ভারত এ বছর ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ আমদানি করতে চায় বাংলাদেশ থেকে।
দুই দেশেই শুল্কমুক্ত সুবিধায় এ ইলিশ ভারতে রপ্তানি করা হয়। এ ইলিশ ভারতে রপ্তানির জন্য বাংলাদেশি ৭৯টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান অনুমোদন পেয়েছে।
বেনাপোল মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অফিসের পরিদর্শক মাহাবুবুর রহমান জানান, হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকার বাংলাদেশের ৭৯ জন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেককে ৫০ টন করে মোট ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশের চালান পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। বন্দরে ইলিশের চালান আসার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত রপ্তানির আদেশ দেওয়া হয়েছে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের।
উল্লেখ্য, ২০১২ সাল থেকে প্রতি দুর্গাপূজায় কলকাতায় ইলিশ রপ্তানি করে আসছে বাংলাদেশ।