লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে শ্রমিক লীগ নেতা সাইফ উদ্দিনকে (৩৭) ধর্ষণের মামলায় ফাঁসাতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয় ফাতেমা বেগম (৩৫) এক নারী।
শনিবার সকালে রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ফাতেমা বেগম (৩৫) এক নারী সাইফ উদ্দিন নামে একজন যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ করে। পরে ঘটনাটি সত্যতা পাওয়া যায়নি। যুবককে মিথ্যাভাবে হয়রানি ও পুলিশকে ভুল তথ্য দিয়ে প্রতারণার দায়ে ওই নারীকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
সাইফ উদ্দিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার প্রমাণ বের হয়ে আসে। পরে আমি থানা থেকে বাড়িতে চলে আসি। আমি এখন এলাকায় আছি।কয়েকটি গণমাধ্যমে ভুল তথ্য ও ছবি দিয়ে সম্মানহানি ও হয়রানির দায়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
খবর নিয়ে জানা গেছে, রামগতি উপজেলা শ্রমিক লীগ নেতা সাইফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ফাতেমা বেগম নামে এক তরুণী রামগতি থানায় উপস্থিত হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সাইফ উদ্দিন ওই তরুণীর সর্বনাশ করছে— এমনটাই উল্লেখ ছিল অভিযোগে।
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সাইফ উদ্দিনকে আটক করে থানা নিয়ে আসে। থানায় আনার পর কয়েকজনের উপস্থিতিতে তরুণীকে প্রশ্ন করা হয় যে, যার বিরুদ্ধে আপনার অভিযোগ সেই ব্যক্তি কি এখানে আছে? উত্তরে ওই তরুণী বলে না। তখন পুরো বিষয়টি পুলিশের কাছে সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে পুলিশ পর্যালোচনা করে দেখে তরুণীর ধর্ষণের ঘটনাটা সম্পূর্ণ সাজানো।
অভিযোগকারী ফাতেমা (তরুণী) চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, অভিযোগকারী ফাতেমা চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। তিনি এখন থানা হেফাজতে রয়েছে। প্রতারণা ও পুলিশকে বিভ্রান্ত করার ঘটনায় তাকে লক্ষ্মীপুর আদালতে সৌপর্দ করা হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) হাসান মোস্তফা স্বপন জানান, পুলিশকে বিভ্রান্ত ও একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অযথা অভিযোগের দায়ে ওই তরুণীর বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনা থেকে পুলিশকে সজাগ থাকতে আহবান জানিয়েছেন তিনি।