প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক সংস্থার একচেটিয়া আধিপত্যে বঞ্চিত বাংলাদেশ: টিআইবি

ঢাকা, ১৪ মে ২০২৪: গঠনের এক যুগের বেশি সময় পার হলেও মূল লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ সবুজ জলবায়ু তহবিল (জিসিএফ)। “সবুজ জলবায়ু তহবিলে বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশের অভিগম্যতা: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়” শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর স্বীকৃতিপ্রাপ্ত জাতীয় প্রতিষ্ঠানে অর্থায়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া জিসিএফের মূলনীতি হলেও তা অগ্রাহ্য করে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে অর্থায়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। জিসিএফ উন্নত দেশগুলো থেকে প্রত্যাশিত মাত্রায় প্রতিশ্রুত তহবিল সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয়ে অনুদানের পরিবর্তে অধিক পরিমাণ ঋণ প্রদানের ফলে জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশের ওপর ঋণ পরিশোধের বোঝা চাপাচ্ছে। গবেষণার ভিত্তিতে জিসিএফ ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের বিবেচনার জন্য ১৪ দফা ও বাংলাদেশ সরকার ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের জন্য ৮ দফা সুপারিশ করেছে টিআইবি।

সুশাসনের বিভিন্ন মানদ-ে ঘাটতি, প্রক্রিয়াগত ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে জিসিএফ-এ ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহের অভিগম্যতা কঠিন হয়ে পড়েছে- উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘অভিগম্যতার ক্ষেত্রে জিসিএফ শুরু থেকেই এমন শর্ত আরোপ করে রেখেছে যা উন্নয়নশীল দেশকে প্রায় নিষিদ্ধ করার পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে। এই তহবিলের সুফল যাদের পাওয়ার কথা, সেই সব ক্ষতিগ্রস্ত দেশের কাছে পর্যাপ্ত এবং প্রত্যাশিত মাত্রায় সহায়তা পৌঁছায়নি। তা ছাড়া, নির্ধারিত যে অর্থছাড় প্রক্রিয়া আছে, সেটিও মানছে না জিসিএফ। নির্ধারিত যে সময়ের মধ্যে প্রকল্প অনুমোদন ও অর্থ হস্তান্তর করার কথা, সেটিও তারা করতে পারছে না। অন্যদিকে, মূলনীতি অনুযায়ী যে প্রকল্পগুলো জিসিএফ অনুমোদন করবে, সেগুলো দেশের উদ্যোগে, দেশীয় প্রেক্ষিত বিবেচনা করে, দেশীয় প্রতিষ্ঠান দ্বারা বাস্তবায়নের কথা থাকলেও, এই কান্ট্রি ঔনারশিপ নীতিমালা প্রতিপালন তো দূরের কথা বরং তা বরাবর উপেক্ষিত হয়েছে। তা ছাড়া এই নীতিমালায় অস্পষ্টতা ও স্বচ্ছতার ঘাটতিও রয়েছে। এর সুযোগে আমরা দেখছি, বিশ্ব ব্যাংক, ইউএনডিপি, আইডিবি, এডিবি এবং ইবিআরডি-এর মতো বিত্তবান আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকেই জিসিএফ বেশি অর্থায়ন করছে, যা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য এবং তহবিল প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্যের পরিপন্থি। সর্বোপরি জিসিএফ ক্রমেই জবাবদিহিহীন হয়ে উঠছে- এমন মন্তব্য করা মোটেও অত্যুক্তি হবে না।’

জলবায়ু সংকটে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহকে অনুদানের পরিবর্তে ঋণের বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার নীতির সমালোচনা করে ড. জামান বলেন, ‘আন্তজার্তিক সংস্থাগুলোকে জিসিএফ বৈষম্যমূলকভাবে শুধু বেশি সহায়তা দিচ্ছে তা-ই নয়, এর সিংহভাগ দিচ্ছে অনুদান হিসেবে, অথচ উন্নয়নশীল দেশের জাতীয় সংস্থাগুলোকে ঋণ বেশি দেওয়া হচ্ছে। যেখানে হওয়ার কথা ছিলো ঠিক উল্টো। এসব আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের সঙ্গে যোগসাজসের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রত্যক্ষভাবে সংকটাপন্ন দেশগুলোর ওপর জিসিএফ আরও ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। অনুদানভিত্তিক কার্যক্রম থেকে সরে গিয়ে ক্রমশ মুনাফাভিত্তিক কার্যক্রমের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। কেননা, উন্নত দেশগুলোর অঙ্গীকার থাকা স্বত্ত্বেও, তাদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত তহবিল সংগ্রহে ব্যর্থ হয়েছে জিসিএফ। এই ব্যর্থতাকে ঢাকার জন্য একদিকে জটিল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অভিগম্যতা সীমিতকরণ ও অন্যদিকে সুকৌশলে অতিরিক্ত ঋণের বোঝা আমাদের মতো ক্ষতিগ্রস্ত দেশের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে, যা অনৈতিক, বৈষম্যমূলক ও হতাশাব্যঞ্জক। আবার, বাংলাদেশের মতো দেশে অর্থায়নের ক্ষেত্রে জিসিএফ দুর্নীতি, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সক্ষমতার ঘাটতির কথা বললেও, ক্ষেত্রবিশেষে নিজেরাই দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। ইউএনডিপির জিসিএফ সম্পর্কিত কাজে দুর্নীতির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও এবং চলমান ছয়টি প্রকল্পে মনিটরিং চলমান থাকা অবস্থায় তাদের আক্রিডিটেশন নবায়ন করা হয়েছে। অর্থাৎ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুন্য সহনশীলতার অঙ্গীকার ভঙ্গ করে দুর্নীতির সহায়ক ভূমিকা পালন করছে জিসিএফ।’

টিআইবির গবেষণার ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, জিসিএফের স্বীকৃতির প্রক্রিয়া জটিল ও সময়সাপেক্ষ এবং বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও তারা সরাসরি অভিগম্যতা প্রাপ্তিতে ব্যর্থ হচ্ছে। ‘কান্ট্রি ঔনারশিপ’ নিশ্চিতে জিসিএফ তহবিলে জাতীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সরাসরি অভিগম্যতা গুরুত্বপূর্ণ হলেও, প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ দেশে সরাসরি অভিগম্যতাপ্রাপ্ত জাতীয় প্রতিষ্ঠান নেই। আবার, জিসিএফ ঝুঁকিপূর্ণ দেশের জলবায়ু অভিযোজনের বদলে প্রশমনে অগ্রাধিকার প্রদান করছে। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত কার্যক্রম অগ্রাধিকার পাচ্ছে না। জিসিএফ তহবিলের শুরু থেকে অভিযোজন এবং প্রশমন থিমে বরাদ্দে ৫০:৫০ অনুপাত বজায় রাখার লক্ষ্যমাত্রা গত ৮ বছরেও অর্জিত হয়নি এবং তা অর্জনের সময়সীমাও উল্লেখ করা হয়নি। প্রশমন থিমে (৫৬%) বেশি বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। গবেষণায় উঠে এসেছে, উন্নয়নশীল দেশে অভিযোজনের জন্য ২০৩০ সাল পর্যন্ত বছরে ২১৫ থেকে ৩৮৭ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হলেও, জিসিএফ মাত্র ৫.৯ বিলিয়ন ডলার অনুমোদন করেছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে নগন্য।

অন্যদিকে, তহবিল স্বল্পতার পাশাপাশি উন্নত দেশের প্রতিশ্রুত জলবায়ু অর্থ সংগ্রহ করে তা ঝুঁকিপূর্ণ দেশে সরবরাহসহ কাক্সিক্ষত দায়িত্ব পালন ও সমন্বয়েও জিসিএফের ঘাটতি রয়েছে। আন্তর্জাতিক অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি ও অর্থায়ন ক্রমশ বৃদ্ধির পাশাপাশি জিসিএফের সার্বিক অর্থায়নে অনুদানের তুলনায় ঋণের পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। জিসিএফ তার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য থেকে সরে এসে ক্রমেই একটি ঋণ প্রদানকারী সংস্থায় রূপান্তরিত হচ্ছে। ‘পলুটার্স-পে-প্রিন্সিপাল’ অনুসারে, ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অনুদান-ভিত্তিক জলবায়ু তহবিল প্রদানে জোর দেওয়া হলেও জিসিএফ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত দেশে অধিক হারে ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। এককভাবে জিসিএফ কর্তৃক অর্থায়নের ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, অনুমোদিত মোট প্রকল্প অর্থে ৪০.৬% ঋণ দেওয়া হয়েছে এবং ৪১.৬% অনুদান দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ইক্যুইটি এবং অন্যান্যভাবে যথাক্রমে ১১.৪% ও ৬.৪% অর্থায়ন করা হয়েছে।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দেখা যায়, এনডিএ হিসেবে মনোনয়ন প্রদানের বিষয়ে জিসিএফের সুস্পষ্ট কোনো নীতিমালা না থাকায় যোগ্য প্রতিষ্ঠান থাকা সত্ত্বেও, সরকারের পছন্দমতো প্রতিষ্ঠানকে এনডিএ হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করা হয়েছে। এক্ষেত্রে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানকে মনোনয়ন প্রদানের কারণ সম্পর্কে অস্পষ্টতা রয়েছে। আবার, বাংলাদেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা ও অর্থনৈতিক মাপকাঠি জিসিএফ মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে অধিক সময় ব্যয় হয়। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ‘কান্ট্রি প্রোগ্রামে’ সরকারি ৪টি প্রতিষ্ঠানকে জিসিএফ থেকে স্বীকৃতির জন্য উদ্যোগ নেওয়া হলেও, ৫ বছরেও প্রতিষ্ঠানগুলো স্বীকৃতি পায়নি। আবার, জিসিএফ সচিবালয় থেকে যথাযথ সহযোগিতার অভাবে বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রায় দুই বছর ব্যয় হয়েছে।

এছাড়া, বাংলাদেশে জিসিএফ প্রকল্পে থিমভিত্তিক অর্থায়ন বিশ্লেষণে দেখা যায়, অভিযোজন প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশে জিসিএফ কর্তৃক ১৪১.৮ মিলিয়ন ডলার (৩২%) অনুমোদন করা হয়েছে, যেখানে প্রশমন প্রকল্পের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ২৫৬.৫ মিলিয়ন ডলার (৫৮%)। আবার, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় মধ্য মেয়াদে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের কমপক্ষে ১২ হাজার মিলিয়ন ডলার প্রয়োজনের বিপরীতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উৎস থেকে অনুমোদন করেছে মোট ১ হাজার ১৮৯.৫ মিলিয়ন ডলার, যা প্রয়োজনীয় অর্থের ৯.৯%। এছাড়াও জিসিএফ রেডিনেসসহ বাংলাদেশের জন্য মোট তহবিল অনুমোদন করেছে ৪৪৮.৮ মিলিয়ন ডলার, যা প্রয়োজনীয় মোট অর্থের ৩.৭%। অন্যদিকে, প্রশমন প্রকল্পে বাংলাদেশ ২৫৬.৪ মিলিয়ন ডলার (৭৬.৯%) অনুমোদন পেলেও, অভিযোজন বিষয়ক প্রকল্পে পেয়েছে মাত্র ৭৬.৮ মিলিয়ন ডলার (২৩.১%)। এর মাঝে জিসিএফ বাংলাদেশের জাতীয় প্রতিষ্ঠানের প্রকল্পগুলোতে ঋণ দিয়েছে ৭৫% এবং অনুদান দিয়েছে ২৫%। গবেষণায় আরো দেখা যায়, বাংলাদেশের প্রকল্পগুলোর জন্য জিসিএফ-এর অর্থছাড়েও বিলম্ব হয়। একটি প্রকল্প অনুমোদনের দীর্ঘ তিন বছর পর ১ম কিস্তির অর্থছাড় করা হয়েছে। ৯টি প্রকল্পে মোট অনুমোদিত অর্থের মাত্র ১৩.৩% ছাড় করা হয়েছে।

গুণগত ও পরিমাণগত উভয় পদ্ধতিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উভয় উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়। জানুয়ারি ২০২৩ – মে ২০২৪ পর্যন্ত সময়ে গবেষণার তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও প্রতিবেদন প্রণয়ন করা হয়। টিআইবি আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, উপদেষ্টা-নির্বাহী ব্যবস্থাপনা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের, গবেষণা ও পলিসি বিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ বদিউজ্জামান এবং গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক সিনিয়র রিসার্চ ফেলো মো. মাহফুজুল হক। সংস্থাটির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি উপস্থাপনা করেন জলবায়ু অর্থায়নে সুশাসন বিষয়ক রিসার্চ ফেলো নেওয়াজুল মওলা এবং রিসার্চ এসোসিয়েট মো. সহিদুল ইসলাম।

গবেষণার ভিত্তিতে জিসিএফ এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনের জন্য টিআইবির ১৪ দফা সুপারিশের মধ্যে আছে- জিসিএফে জাতীয় প্রতিষ্ঠানের সরাসরি অভিগম্যতা নিশ্চিতে স্বীকৃতি প্রক্রিয়াকে সহজ করতে হবে এবং জলবায়ু ঝুঁকিগ্রস্ত উন্নয়নশীল দেশের অভিগম্যতা ত্বরান্বিত করতে ক্ষেত্রবিশেষে মানদণ্ডগুলো আরও সহজ ও স্পষ্ট করা; পাশাপাশি, সরাসরি অভিগম্যতা বৃদ্ধির জন্য সম্ভাব্য জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে জিসিএফের কারিগরি সহায়তা বৃদ্ধি করা ইত্যাদি। অন্যদিকে বাংলাদেশের সরকার এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনের বিবেচনার জন্য টিআইবির ৮ দফা সুপারিশের মধ্যে আছে- কারিগরি সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এনডিএতে জলবায়ু পরিবর্তন এবং জিসিএফ সম্পর্কে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন জনবল নিয়োগ দেওয়া, এনডিএতে জিসিএফ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কর্মকর্তার স্থায়ী পদ তৈরি করা ইত্যাদি।

আরও পড়ুন