বিরোধী দলের সঙ্গে শর্তহীন সংলাপে যেতে হবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিরোধীদল হচ্ছে সেই দল পার্লামেন্টে যাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি আছে। এর বাইরের গুলো কিন্তু বিরোধী দল হয় না; যুক্তরাষ্ট্রেও তাই। যদিও আমরা তাদের সিস্টেমে না। এই যে এত মানুষকে মারল বিএনপি জামায়াত। আপনারা (সাংবাদিক) পিটার হাস কেন প্রশ্ন করলেন না? যখন উপনির্বাচনে একটা ঘটনা ঘটল, হিরো আলমকে মারা হলো তারা (যুক্তরাষ্ট্র) নিন্দা জানাল। কিন্তু পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করল। কিন্তু তার তো নিন্দা জানাল না। এখন তারা চুপ কেন?
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক শেষে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সব পক্ষকে শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংলাপ নিয়ে আওয়ামী লীগের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চেয়ে এ প্রশ্ন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, খুনিদের (বিএনপি-জামায়াত) সাথে কিসের সংলাপ? যারা এভাবে মানুষ হত্যা করে, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ধ্বংস করতে পারে তাদের সাথে ডায়লগ সে (পিটার হাস) বসে ডিনার খাক, সে (পিটার হাস) বসে ডায়লগ করুক। খুনিদের সাথে সংলাপ- বাংলাদেশের মানুষও চাইবে না। এখন মানুষের কাছে তারা ঘৃণার পাত্র। যেটুকু অর্জন করেছিল সেটাও নেই।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে অংশ নিতে গত ২৪ অক্টোবর সফরসঙ্গীদের নিয়ে বেলজিয়ামে যান প্রধানমন্ত্রী। গত ২৫ ও ২৬ অক্টোবর ওই ফোরামে যোগ দেন তিনি। ফোরামের ফাঁকে ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেন। বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডি ক্র ও লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী জেভিয়ার বেটেলের সঙ্গেও বৈঠক করেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরেকটা প্রশ্ন আমার, বিশ্বে অনেক সাংবাদিক সংগঠন আছে, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসসহ অনেকগুলো। কই কোন সংগঠন তো বিবৃতি দিলো না। সাংবাদিকদের পিটানো হলো, পুলিশকে মারল, গাড়ি পুড়ল; এখন কেন তারা মুখ খুলছে না। মানবাধিকার এখানে গেলো কই? বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলোও বা গেল কই। যারা বুদ্ধি বেঁচে খায়।